বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশকে টিকা কেনার টাকা দিল বিশ্বব্যাংক

  •    
  • ১৯ মার্চ, ২০২১ ১৩:৩৮

বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে সরকারের যে প্রাথমিক অগ্রাধিকার পরিকল্পনা, তার অধীনে ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে এই অর্থায়ন সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে এটি নিরাপদ ও কার্যকরী টিকা ক্রয়, সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বিতরণে সরকারকে সহায়তা করবে।

৫ কোটি ৪০ লাখ মানুষকে টিকাদানে বাংলাদেশকে সহায়তায় সহজ শর্তে ৫০ কোটি ডলার (৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকা) ঋণের অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংক থেকে শুক্রবার পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘কোভিড-১৯ এমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে বিশ্বব্যাংক থেকে অতিরিক্ত এই অর্থ দেয়া হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, প্রথম পর্যায়ে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে সরকারের যে প্রাথমিক অগ্রাধিকার পরিকল্পনা, তার অধীনে ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে এই অর্থায়ন সহায়তা করবে। সেই সঙ্গে এটি নিরাপদ ও কার্যকরী টিকা ক্রয়, সংরক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বিতরণে সরকারকে সহায়তা করবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে বাংলাদেশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত এবং সাম্যতার সঙ্গে মানুষের টিকাপ্রাপ্তি জরুরি।

‘এই অর্থায়ন জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগণের জন্য অবিলম্বে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, এই প্রকল্পের আওতায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ চিহ্নিত করা, প্রতিরোধ, চিকিৎসা এবং একই সঙ্গে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যবিষয়ক জরুরি পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে বিশ্বব্যাংক সহায়তা অব্যাহত রাখবে। এ ছাড়া একটি সফল টিকাদান কর্মসূচির জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেবে এবং টিকা পরীক্ষায় ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরের সক্ষমতা বাড়াবে।

বিশ্বব্যাংক থেকে জানানো হয়, এই অর্থায়ন দেশের জনগণের প্রায় ২০ শতাংশের জন্য গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটি (কোভ্যাক্স)-এর মাধ্যমে প্রাপ্ত টিকা দেয়ার ব্যয় বহন করবে। বাকি ১১ শতাংশ মানুষের জন্য এই অর্থায়ন উৎপাদকের কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় অথবা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকার ব্যয়ভার ও টিকা প্রদানের ব্যয় বহন করবে। এর বাইরে সরকার নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমে দেশের ৯ শতাংশ লোকের জন্য টিকার ব্যয়ভার বহন করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অপারেশন অফিসার ও প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার ইফফাত মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশের শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি ব্যবস্থাপনায় সুদীর্ঘ ও সফল অভিজ্ঞতার আলোকে এই অর্থায়ন সেই সমস্ত মানুষের কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, যাদের টিকার প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া প্রকল্পটি টেস্টিং ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং জেলা পর্যায়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র সম্প্রসারণে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।’

অতিরিক্ত এই অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার পরিমাণ দাঁড়াল ৬০ কোটি ডলার। এর বাইরে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) এই প্রকল্পে ১০ কোটি ডলার অর্থায়ন করছে।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে ৩০ বছর মেয়াদি এই ঋণে পাঁচ বছরের গ্রস পিরিয়ড (কিস্তি অব্যাহতির সময়কাল) রয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে চলমান আইডিএ কর্মসূচির সর্বাধিক অর্থায়ন রয়েছে, যার পরিমাণ ১৩.৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সহায়তায় এগিয়ে আসা প্রথম উন্নয়ন সহযোগীদের অন্যতম এবং এ দেশের স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি অনুদান এবং সুদবিহীন ও নমনীয় কনসেশনাল ঋণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কোভিড-১৯ প্রতিরোধে টিকার জন্য দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম ধাপে যে তিনটি দেশকে সহায়তা দেয়া হয়েছে, বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।

শুক্রবার বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক বোর্ড নেপালকে সাড়ে ৭ কোটি ডলার ও আফগানিস্তানকে ৬ কোটি ডলারের অর্থায়ন অনুমোদন দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর