বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহামারির বছরে চমক দেখাল ব্যাংক এশিয়াও

  •    
  • ১৮ মার্চ, ২০২১ ২১:২৯

গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি আয় করেছে এক টাকা ১ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ মহামারির বছরে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭ পয়সা। তবে এই ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা গত বছরের চেয়ে ২৪০ কোটি টাকা কম হয়েছিল।

করোনা মহামারির বছরে পরিচালন মুনাফা ২৪০ কোটি টাকা কমে গেলেও চূড়ান্ত মুনাফা ৯ কোটি টাকার মতো বেড়েছে ব্যাংক এশিয়ার।

গত বছরের চেয়ে আয় বেশি হলেও শেয়ারধারীদের জন্য একই পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়ার প্রস্তাব করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।

২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ার প্রতি এক টাকা অর্থাৎ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির কোম্পানি সচিব এস এম আনিসুজ্জামান।

গত বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক এশিয়া শেয়ার প্রতি আয় করেছে এক টাকা ১ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা। অর্থাৎ মহামারির বছরে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৭ পয়সা।

আগের বছরও ব্যাংকটি তার শেয়ারধারীদেরকে এক টাকা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে অর্থনীতি চালু হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক মাস সময় লেগে যায়। এ কারণে ব্যাংকগুলোর আয় কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।

ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার যে হিসাব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাতে দেখা যায়, ব্যাংক এশিয়ার আয় আগের বছরের চেয়ে কমে যায় ২৫ শতাংশ।

২০১৯ সালে এই ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ৯৫০ কোটি টাকা, সেটি কমে ২০২০ সালে মুনাফা হয় ৭১০ কোটি টাকা। ২৪০ কোটি টাকা মুনাফা কমে গেলেও করোনাকালে সঞ্চিতি সংরক্ষণসহ নানা সুবিধার কারণে বেড়েছে চূড়ান্ত মুনাফা।

ব্যাংকটির চূড়ান্ত মুনাফা হয়েছে ২০৪ কোটি তিন লাখ টাকার কিছু বেশি। গত বছর আয় ছিল ১৯৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকার কিছু বেশি। অর্থাৎ চূড়ান্ত মুনাফা বেড়েছে ৯ কোটি টাকার মতো।

এর আগে যে তিনটি ব্যাংক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে তার একটিরও চূড়ান্ত মুনাফা গত বছরের চেয়ে কমেনি।

পরিচালন মুনাফা ৯০ কোটি টাকা কমে গেলেও ডাচবাংলা ব্যাংকের চূড়ান্ত মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ।

পরিচালন মুনাফা ২০০ কোটি টাকা কমে গেলে চূড়ান্ত মুনাফা ১৫ শতাংশের মতো বাড়ে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের।

পরিচালন মুনাফা ৩০৩ কোটি টাকা কমলেও চূড়ান্ত মুনাফা ২০১৯ সালের সমান হয় মার্কেন্টাইল ব্যাংকের।

ব্যাংক এশিয়ার শেয়ারধারীরা প্রস্তাবিত এই মুনাফা পেতে চাইলে তাদের শেয়ার ধরে রাখতে হবে আগামী ৮ এপ্রিল।

আগামী ২৯ এপ্রিল বার্ষিক সাধারণ সভায় এই মুনাফা চূড়ান্ত হবে। বাংলাদেশে প্রস্তাবিত মুনাফা পাল্টানোর উদাহরণ একেবারেই কম।

করোনাকালে এবার বার্ষিক সাধারণ সভা হবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে।

যে কারণে বেড়েছে চূড়ান্ত মুনাফা

ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কমলেও চূড়ান্ত মুনাফায় প্রবৃদ্ধির বিষয়ে এর আগে সংবাদ প্রকাশ করেছে নিউজবাংলা।

এ বিষয়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) নিউজবাংলাকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ সুবিধার কারণে তাদের মুনাফা বেশি হয়েছে।

এই কর্মকর্তা জানান, অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০ সালে ঋণ পরিশোধ না করেও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছেন ঋণগ্রহীতারা। আর এ কারণে খেলাপি ঋণের বিপরীতে তাদেরকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী খেলাপি ঋণের মানভেদে নিরাপত্তা সঞ্চিতির হার ৫ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। যেহেতু খেলাপি ঘোষণা করা যায়নি, তাই এই সঞ্চিতি সংরক্ষণের দরকার পড়েনি। ফলে ব্যাংকের ব্যালান্স শিট মহামারিকালে আগের বছরের চেয়ে ভালো দেখাচ্ছে।

গত বছরের মার্চ মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কেউ কিস্তি না দিলেও খেলাপি করা যাবে না। পরে দুই দফায় এই নির্দেশনার কার্যকারিতা বাড়িয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। ফলে অপরিশোধিত ঋণের মেয়াদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বেড়ে যায়।

মেয়াদি ঋণের পাশাপাশি চলতি মূলধন ঋণেও গত বছর এই সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এখন চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ সুবিধা আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর