বাংলাদেশে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরিতে আগ্রহ দেখিয়েছে বেলারুশ। পরিবেশবান্ধব পরিবহণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতেও তাদের বিনিয়োগের আগ্রহ রয়েছে।
কৃষিভিত্তিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে চায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশটি।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে ঢাকায় সফররত রেলারুশের শিল্প বিষয়ক উপমন্ত্রী ডিমিট্রি হ্যারিনটনচিক এই আগ্রহের কথা জানায়।
বাংলাদেশে এরই মধ্যে একটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে। পাবনার রূপপুরে এই কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রুশ প্রতিষ্ঠান রোসাটম। দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াটের এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৩ ও দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসবে বলে আশা করছে সরকার।
বেলারুশের উপমন্ত্রী জানান, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। এ জন্য শুল্ক জটিলতার অবসানে তার দেশ কাজ করছে।
এই আগ্রহকে স্বাগত জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেলারুশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এসব জোনে বেলারুশ চাইলে পাওয়ার, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্প খাতে বিনিয়োগ করতে পারে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে কারিগরি সহয়তা দিলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে।
দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের পারস্পরিক দেশ সফরে গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে কোন কোন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা যায়, তা নির্ধারণ করবে।’
বেলারুশে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতেও দেশটির উপমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ বেলারুশে রপ্তানি করেছে ৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৪৭.৩৬ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
এই ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেয়ার আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
জবাবে বেলারুশের উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যে শুল্ক জটিলতা নিরসনে কাজ করছে তার সরকার।