বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বব্যাংকের ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ পাবেন যুব উদ্যোক্তারা

  •    
  • ১৭ মার্চ, ২০২১ ১৫:৫১

বুধবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্বল্প আয়ের শহরের যুব উদ্যোক্তা ও বিদেশফেরত শ্রমিকদের সহায়তায় ২০ কোটি ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

বুধবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। শিগগিরই এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সই হবে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

‘অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মসংস্থান, পুনরুদ্ধার এবং অগ্রগতি’ বিষয়ক বা রেইসি প্রকল্পের আওতায় সহজ শর্তে এই ঋণ দেবে ওয়াশিংটনভিত্তিক বহুজাতিক ঋণদাতা সংস্থাটি।

পাঁচ বছর গ্রেস সময়সীমাসহ ৩০ বছরে বাংলাদেশ সরকারকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে পাঁচ বছর শুধু ঋণের মূল টাকা পরিশোধ করতে হবে। তার পর থেকে সুদ ও আসল দিতে হবে।

বিশ্বব্যাংক বলেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৭৫ হাজার ক্ষুদ্র যুব উদ্যোক্তাকে সহায়তা দেয়া হবে। কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এদের কাউন্সিলিং ও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, যাতে সবাই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে পারেন। এসব সেবা দিতে ৩২ জেলায় কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের মতে, করোনার প্রাদুর্ভাবে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রায় ২ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ হারিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় তাদেরও সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেমবন বলেছেন, ‘অনানুষ্ঠানিক এবং জনশক্তি রপ্তানিকারক খাত গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে দারিদ্র্যবিমোচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে এই দুই খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ প্রকল্পের আওতায় যে অর্থ দেয়া হবে, তা দিয়ে দুটি খাতের সমস্যাগুলো দূর করা হবে। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা করোনাপরবর্তী প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার সৈয়দ ওমর আহমেদ বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় তথ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি ও সংহতকরণ হবে যাতে বিদেশফেরত এবং বিদেশগামী শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা সেবা দেয়া যায়। তবে কোভিডের কারণে যারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর