বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন

  •    
  • ১৬ মার্চ, ২০২১ ১৯:০১

এ প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে একতলা পাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। তাদের পরিবারের ভিটায় দুই বেড, দুই টয়লেট, ডাইনিং ও কিচেনসহ ৬৩৫ বর্গফুটের এই ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেয়া হবে।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাদের জন্য আবাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।

এ জন্য ৪ হাজার ১১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে, যা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয় মঙ্গলবার।

বৈঠকে এটিসহ ৫ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ছয়টি প্রকল্প পাস হয়। এর মধ্যে তিনটি নতুন। অবশিষ্ট তিনটি সংশোধিত।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একনেকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। পরে শেরেবাংলা নগরে এনইসিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সভার বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন পরিকল্পনা সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

তিনি বলেন, একনেক সভায় অনুমোদিত ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে উপহার হিসেবে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধা-বীরাঙ্গনা-শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থসামাজিক অবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় গণভবন থেকে অনলাইনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে একতলা পাকা ঘর তৈরি করে দেয়া হবে। তাদের পরিবারের ভিটায় দুই বেড, দুই টয়লেট, ডাইনিং ও কিচেনসহ ৬৩৫ বর্গফুটের এই ‘বীর নিবাস’ তৈরি করে দেয়া হবে। প্রতিটি ঘর তৈরিতে ব্যয় ধরা হয় ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।

৬৪ জেলার ডিসি কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে ২ লাখ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। এর মধ্যে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।

পরিকল্পনা সচিব জয়নুল বারী সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের আবাসিক সংকট দূর হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।

পরিকল্পনা কমিশন বলেছে, প্রতি জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ করতে ২০১৮ সালের মার্চে একনেকে প্রথম প্রকল্পটি পাস হয়েছিল। এতে ২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৫৩২টি ভবনে মোট ৮ হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা ছিল।

একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধারা আপত্তি তুলে বলেছেন, নিজেদের ভিটা ও পরিবার ছেড়ে ওইসব ফ্ল্যাটে উঠতে চান না তারা। এ কারণে তখন মূল প্রকল্পটি প্রত্যাহার করা হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের চাহিদা অনুযায়ী, বাস্তবতার ভিত্তিতে নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়, যা মঙ্গলবার একনেকে পাস হয়।

একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে: সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ, স্থানীয় সরকার বিভাগের পিরোজপুর জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের শরীয়তপুর জেলার জাজিরা ও নড়িয়া উপজেলায় পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা, বিদ্যুৎ বিভাগের কনস্ট্রাকশন অব নিউ সাবস্টেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগের রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী মোড় পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন আল রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নেয়া আবাসন প্রকল্পে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, যাদের ভিটেমাটি নেই, তাদের জেলা প্রশাসক বা ইউএনওর মাধ্যমে জমির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও ইউএনওরা যেন প্রয়োজনে প্রকল্পের টাকা দ্রুত ছাড় করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে যাতে অর্থের কোনো সমস্যা না হয় সে জন্য অর্থবছরের শুরু থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর