বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে বাড়াতে হবে কূটনৈতিক তৎপরতা’

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ২০:১৬

রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যানের সফল বাস্তবায়ন লক্ষ্যও রয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন দেশের বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। এই উন্নয়ন সম্ভব হলেই বাংলাদেশ অর্থনীতির গতিধারা পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।’

স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর রপ্তানিতে বাজারসুবিধা ধরে রাখতে বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জিএসপি প্লাস ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভ্যারওয়ে। একই সঙ্গে জিএসপি প্লাসের সুবিধা পেতে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

রোববার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে হ্যারি ভ্যারওয়ে এই আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘ইইউর জিএসপি ক্লাবে সুবিধা পেতে যোগ্যতা অর্জনের পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা প্রয়োজন।’

ইইউয়ের জিএসপি প্লাস উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য দেয়া একটি বিশেষ সুবিধা। এর আওতায় ইইউভুক্ত দেশগুলোতে কিছু পণ্য রপ্তানিতে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে ২৭টি আন্তর্জাতিক নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শ্রম অধিকার নিশ্চিত করা ও শিশুশ্রম বিলোপ, পরিবেশের সুরক্ষা এবং সুশাসন।

জাতিসংঘে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ গৃহীত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের লক্ষ্য হওয়া উচিত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণে জোর দেয়া।’

বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধিতে ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যানের সফল বাস্তবায়ন লক্ষ্যও রয়েছে। এই লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন দেশের বেসরকারি খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। এই উন্নয়ন সম্ভব হলেই বাংলাদেশ অর্থনীতির গতিধারা পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে।’

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বাংলাদেশে নেদারল্যান্ডস সরকার ও উদ্যোক্তাদের আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বৈদেশিক বিনিয়োগের দিক থেকে বাংলাদেশে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে নেদারল্যান্ডস। বর্তমানে খাদ্য, জ্বালানি, সিমেন্ট, তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে দেশটির উদ্যোক্তারা প্রায় ১ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি বাংলাদেশে মোট বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রায় ৮ ভাগ। তবে এ বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।’

নদী ও পানি ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডসের দক্ষতার প্রসঙ্গ টেনে ডিসিসিআই সভাপতি ঢাকা, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য বিভাগীয় শহরে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ ব্যবস্থাপনায় দেশটির বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি, নদী ব্যবস্থাপনা ও নদীশাসন, ডিজিটাল শিল্প খাত এবং সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাও কাজে লাগাতে পারে নেদারল্যান্ডস। বিশেষত সমুদ্র অর্থনীতির সুফল ভোগ করতে নেদারল্যান্ডসের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।’

২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। যেখানে, বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩ হাজার ডলার এবং প্রায় ১১ কোটি ডলার।

তবে করোনার কারণে গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৪.০৭% কমেছে।

এ বিভাগের আরো খবর