বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এস কে সুর ও শাহ আলমের ব্যাংক হিসাব তলব

  •    
  • ১৪ মার্চ, ২০২১ ১৬:১৯

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার নজির নেই বলে জানা গেছে।

সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম ও তার দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী ও নাসরিন বেগমের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সব ব্যাংকের কাছে পাঠানো চিঠিতে মঙ্গলবারের মধ্যে তাদের অ্যাকাউন্টের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য দিতে বলা হয়।

এর আগে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) গোয়েন্দা সেল।

চিঠিতে ওই দুই কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। চিঠিতে ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের হিসাবের হালনাগাদ তথ্য চাওয়া হয়।

এমনকি আগের ব্যাংক হিসাব কিন্তু এখন বন্ধ হয়ে গেছে, এমন হিসাবের তথ্যও দিতে বলা হয় তখন।

এর আগে বিএফআইইউ থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তার অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার নজির নেই বলে জানা গেছে।

চিঠিতে এদের সবার অ্যাকাউন্ট খোলার ফরম, লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

পি কে হালদারের নিয়ন্ত্রণাধীন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল ইসলামের আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে এ দুজনের ঘুষ নেয়ার বিষয়টি উঠে আসে।

জবানবন্দিতে রাশেদুল ইসলাম বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য দেন।

সেই অভিযোগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব থেকে নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে সরিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

একই সঙ্গে তাকে ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগ-২ এর দায়িত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়।

আদালতে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক এমডি রাশেদুল হক স্বীকারোক্তিতে জানান, শাহ আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্বে থাকাকালে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং নামের দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছিলেন।

জবানবন্দিতে রাশেদুল হক দাবি করেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নানা অনিয়ম চাপা দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা করে ঘুষ দিতে হতো।

এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেয়া হতো ২ লাখ টাকা করে। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব অনিয়ম ‘ম্যানেজ’ করতেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী।

এ বিভাগের আরো খবর