বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থমকে আছে উন্নয়ন কর্মসূচি

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২১ ২২:৫৫

চলতি অর্থবছরের আট মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। অর্থ বছরের বাকি আট কাজের মাসে গতি দ্বিগুণ করতে হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রকল্প পরিচালকদের সঙ্গে বসে সে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি–এডিপি বাস্তবায়নে কিছুতেই গতি আসছে না। চলতি অর্থ বছরের আট মাস পার হলেও এডিপি বাস্তবায়নের হার উল্লেখ করার মতো নয়।

বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডির প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে এক তৃতীয়াংশ মাত্র। বাকি চার মাসে দ্বিগুণ কাজ করতে হবে।

বাস্তবায়নের এই হার গত পাঁচ অর্থ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ম। গত অর্থ বছরের একই সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছিল ৩৭ শতাংশের বেশি।

আইএমইডির প্রতিবেদন বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে আট মাসে এডিপির মোট বরাদ্দের মধ্যে খরচ হয় ৭২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ৩৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

এর মধ্যে স্থানীয় অর্থ ৪৬ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা। বাকি ২৪ হাজার ৪৬৯ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জুলাই থেকে ফ্রেবুয়ারি পর্যন্ত ব্যয়ের দিক থেক খারাপ অবস্থানে রয়েছে ডাকও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় (১৭ শতাংশ), স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (২১ শতাংশ), মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় (২৪ শতাংশ) ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (২৫ শতাংশ)।

এই সময়ে বাস্তবায়নের দিক থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় (৬৬ শতাংশ), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় (৫৬ শতাংশ), জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ (৫১ শতাংশ), কৃষি মন্ত্রণালয় (৪০ শতাংশ)।

কেন পিছিয়ে পড়া?

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে বলেন, জমি অধিগ্রহণ, দরপত্র প্রক্রিয়াসহ নানা কারণে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগ সময়মত কাজ শুরু করতে পারেনি। যে কারণে বাস্তবায়নে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।

এরই মধ্যে এডিপি সংশোধন হয়ে গেছে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত হয়েছে। ফ্রেব্রয়ারির পর বাস্তবায়নের গতি আরও বাড়বে বলে আশা করছেন ওই কর্মকর্তা।

গতি বাড়ানোর চেষ্টা

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সাধারণ ঘোষণা করে সরকার। এতে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রভাব পড়ার পর গত অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হয় ৮৬ শতাংশ।

তবে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমে আসায় অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ায়। আর প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রকল্প পরিচালকদের এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। এত সব উদ্যোগের পরও উন্নয়ন কাজ তথা এডিপির কাঙ্ক্ষিত গতি বাড়ছে না।

চলতি অর্থবছরে মূল এডিপির আকার ছিল দুই লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। পরে প্রায় ৪ শতাংশ বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধিত এডিপি নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা গত সপ্তাহে পাস হয়।

গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পিআরআইএর নিবার্হী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ এডিপি বাস্তবায়নে বড় দুর্বলতা হচ্ছে মন্ত্রণালয়গুলোর গাফিলতি। এখানে জবাবদিহিতার যথেষ্ঠ অভাব আছে। নিবিঢ় তদারকি ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় না আনতে পারলে উন্নয়ন কাজের কাঙ্ক্ষিত গতি আসবে না।’

এ বিভাগের আরো খবর