বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করার তাগিদ

  •    
  • ১১ মার্চ, ২০২১ ২২:১৫

রাজধানীতে এক নাগরিক সম্মেলনে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা বরাবরই কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ কারণে সরকারি সেবা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে।

উন্নয়নকে আরও টেকসই করতে হলে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। উন্নয়ন হতে হবে স্থানীয় কেন্দ্রিক এবং স্থানীয় জনগণকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। তবেই জনগণ এর সুফল পাবে।

গণতান্ত্রিক সুশাসন ও স্থানীয় উন্নয়ন তৃণমূল প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা শীর্ষক ‘নাগরিক সম্মেলন-২০২১’-এ বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে এই অভিমত উঠে এসেছে। তারা বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও বেসরকারি সংস্থা অক্সফাম আয়োজিত তিন দিনের এ সম্মেলন বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়নে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণকে কীভাবে সম্পৃক্ত করা যায়, সে বিষয়ে মতামত নিতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন। তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধি, এনজিওকর্মী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিশিষ্টজনেরা আলোচনায় অংশ নেন।

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা বরাবরই কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। এ কারণে সরকারি সেবা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। এসডিজি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার উপর জোর দিতে বলেন তারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অফুরন্ত সম্ভাবনা আছে। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে।’

বাংলাদেশের পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়– এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুতে ঘাটতি নেই। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পন্ন অর্জন করেছে। বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। গত এক যুগে মাথা পিছু আয় তিন গুণ বেড়েছে। এসব অর্জনের পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব কাজ করেছে।

দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিতে হলে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই বলে জানান মন্ত্রী।

জাতীয় উন্নয়নে নারীদের আরও অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী আরও বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য নারী শিক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বর্তমান সরকার।

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ করতে হলে মাথাপিছু আয় দরকার হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার। এটি উল্লেখ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্য পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেঞ্জে টিরিঙ্ক বলেন, করোনার ভ্যাকসিন কর্মসূচিতে অনেক দেশের তুলনায় ভালো করেছে বাংলাদেশ। এর অর্থ হচ্ছে সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ। স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় যুক্ত করতে পারলে দ্রুত টেকসই উন্নয়ন করা যাবে। এ জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হবে।

সিপিডির অপর সম্মানীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যেকোনো উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে টেকসই উন্নয়ন হবে না।

এসডিজি বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকারব্যবস্থার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে অনেক কিছু কেন্দ্রীয় সরকার থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরকারি সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় সরকারব্যবস্থাকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, এখনও জোর দিয়ে বলা যায় না, সকল ক্ষেত্রে সমতা সৃষ্টি হয়েছে। দূর হয়েছে বৈষম্য। টেকসই উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির সুফল পেতে হলে এসব বিষয়ে সমাধান জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

সম্মেলনে নীলফামারীর ডিমলা চর এলাকার ফরিদা বেগম, কিশোরগঞ্জের নিকলির এ এস এম আসাদসহ তৃণমূল পর্যায়ের আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।

এ বিভাগের আরো খবর