বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এত বেশি কর দিতে হয় না’

  •    
  • ৯ মার্চ, ২০২১ ২২:৩৩

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, ধাপে ধাপে কর দেয়ার কারণে ক্ষেত্রবিশেষে তাদের কর হার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। তারা কর হার কমানোর প্রস্তাব করেছেন।

দেশে বিনিয়োগ বাড়াতে কর হার বর্তমানের চেয়ে আরও কমানোর প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের প্রভাবশালী সংগঠন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই)।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে মঙ্গলবার প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব করে এমসিসিআইয়ের নেতারা বলেছেন, উচ্চ কর হার বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। অনেক দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চললেও আমলে নিচ্ছে না সরকার।

বর্তমানে কোম্পানিগুলো সাড়ে ৩২ শতাংশ হারে কর দেয়। একে বলা হয় করপোরেট কর। মোট মুনাফার উপর বছরে উল্লিখিত হারে তারা এ কর দিয়ে থাকে।

এমসিসিআই বলেছে, এত বেশি হারে করপোরট কর পরিশোধ করে ব্যবসা করা খুব কঠিন। উচ্চ হারে কর আরোপের কারণে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হচ্ছে।

অধিক কর্মসংস্থান ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর হার বিদ্যমান হারের চেয়ে আরও কমানোর প্রস্তাব করেছে এমসিসিআই।

সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এ সময় বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত রাজস্ব বোর্ডের জ্যেষ্ঠ সদস্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১ মার্চ থেকে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন, খাতভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধি, অর্থনীতিবিদ ও গবেষকসহ অংশীজনের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা শুরু করেছে এনবিআর। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার এমসিসিআইসহ অন্যান্য ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে এমসিসিআইয়ের সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর বলেন, উচ্চ কর হার দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। নিরুৎসাহিত করছে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে (এফডিআই)। বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে আগামী বাজেটে এই কর হার আরও কমিয়ে আনতে হবে।

এমসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, পণ্য উৎপাদনে উদ্যোক্তাদের ধাপে ধাপে কর দিতে হয়। আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম কর দিতে হয়। আবার মধ্যবর্তী প্রক্রিয়ায় এবং উৎপাদিত পণ্যের উপরও কর দিতে হয়। এতে করে ক্ষেত্রবিশেষে কর হার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশে গিয়ে ঠেকে। পৃথিবীর কোনো দেশে এত বেশি কর হার নেই বলে জানান তিনি।

এলাকাভিত্তিক জমির মৌজার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে এমসিসিআই। মেট্রো চেম্বার বলেছে, বাজারের চেয়ে নির্ধারিত মূল্য অনেক কম। ফলে বৈধ উপার্জনের একটি অংশ অবৈধ হয়ে যাচ্ছে এবং অর্থনীতিতে প্রচুর কালো টাকা সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় আগামী বাজেটে জমির মৌজা মূল্য পুনঃনির্ধারণের দাবি জানানো হয়। এটি করা হলে কালো টাকা অর্থনীতির মূল ধারায় আসবে। ফলে আরও শক্তিশালী হবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড।

এমসিসিআই সভাপতি বলেন, এ পদক্ষেপ নেয়া হলে রাজস্ব আহরণ বাড়ার পাশাপাশি অর্থনীতি আরও সবল হবে।

লিখিত প্রস্তাবে এমসিসিআই-এর পক্ষ থেকে আগামী বাজেটে আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিষয়ে মোট ১০৭টি প্রস্তাব দেয়া হয়। এ ছাড়া আগাম কর, ভ্যাটের কেন্দ্রীয় নিবন্ধন ফি কমানোর প্রস্তাব করা হয়।

এমসিসিআইর ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশন সাব-কমিটির চেয়ারম্যান আদিব এইচ খান বলেন, নতুন ভ্যাট আইন শুধু নামেই। আসলে এটা ১৯৯১ সালের পুরাতন আইনের মতোই। নতুন ভ্যাট আইনে অনেক কিছু পরিবর্তন করা হলেও বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই। এই আইনের বাতিলের দাবি জানান তিনি।

এনবিআর চেয়াম্যান বলেন, এসব প্রস্তাব বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হবে এবং বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে আগামী বাজেটে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর