বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে চায় কসোভো। এ প্রক্রিয়ায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দুই দেশের মধ্যে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) বৈঠক আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রদূত গুনের উরেয়া।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে সোমবার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রপ্তানি বাড়ানো এবং শিল্প-কারখানা সম্প্রসারণে এই যৌথ কমিশনের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ’
সাক্ষাতকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান কসোভোর রাষ্ট্রদূত ।
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ এবং কসোভোয় শান্তিরক্ষায় নিয়োজিত বাংলাদেশিদের প্রশংসা করেন তিনি। এসময় রাষ্ট্রদূত শিল্পমন্ত্রীকে কসোভো সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।
জবাবে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার ওপর গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কসোভোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ আন্তরিক। শিল্পখাতে দ্বিপাক্ষিক সহায়তার ক্ষেত্র চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে বাংলাদেশ তা যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।’
শিল্পমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেন, যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠকের আগে উভয় দেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে আলোচনা ও সফরের প্রয়োজন। এ সফরের মাধ্যমে উভয় দেশে যেসব সম্ভাবনা রয়েছে তা জানা যাবে। তারপর জেইসি বৈঠক হতে পারে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য বাংলাদেশ থেকে কসোভোয় রপ্তানি হচ্ছে। ভবিষ্যতে তা আরও বেশি আমদানির পাশাপাশি ফুড প্রসেসিং, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি উৎপাদিত পণ্য এবং উৎপাদিত কাঁচামালও আমদানির আহবান জানান।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, মন্ত্রীর একান্ত সচিব এবং কসোভোর রাষ্ট্রদূতের একান্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন।