বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভা সোমবার শুরু হচ্ছে। ঢাকার হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে অনুষ্ঠেয় এ সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাধা দূর ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নয়টি ইস্যুতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা হবে।
এর আগে দুই দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের এ সভা গতবছর ১৫-১৬ জানুয়ারি ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী এবার সভাটি ঢাকায় হতে যাচ্ছে । আগামী ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর উপলক্ষ্যে সচিব পর্যায়ের এই সভাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য সংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে। যার অগ্রগতি ঠিক করা হবে সচিব পর্যায়ের এই বৈঠক থেকে।
এবার সভায় বাংলাদেশের পক্ষে ২৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন। অন্যদিকে, সাত সদস্য বিশিষ্ট ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প সচিব অনুপ ধাওয়ান।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় গত বছর নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠিত উভয় দেশের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের সভায় নেয়া সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য বিষয়ে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের (জেডব্লিউজি) ১৩ তম সভার অগ্রগতি মূল্যায়ন করা হবে। দুই দেশের মধ্যকার শুল্ক ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য বাধা দূর করার উপায় খোঁজা হবে। বাংলাদেশের কয়েকটি পণ্যের উপর ভারত সরকারের আরোপিত অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহার সংক্রান্ত করণীয় নির্ধারণ। দুই দেশের মধ্যকার কমপ্রিহেনসিভ ইকনোমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) চুক্তি সইয়ের সম্ভাব্যতা পরীক্ষা। সীমান্ত বাণিজ্য ও সীমান্ত হাটের সংখ্যা বাড়ানো। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বন্দর সুবিধা বাড়ানো। বিভিন্ন আঞ্চলিক ফোরামকে বাংলাদেশ ও ভারতের অংশগ্রহণে অধিকতর কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া এবং অন্যান্য বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পর্যালোচনা ও করণীয় নির্ধারণ করা।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে পররাষ্ট্র, শিল্প, বস্ত্র ও পাট, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বিএসটিআই, সড়ক ও জনপথ বিভাগ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের প্রতিনিধিসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।