বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের সঙ্গে সেপা চুক্তিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ

  •    
  • ৭ মার্চ, ২০২১ ১৯:৫০

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিবেশী ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশটির বাজারে বাণিজ্যসুবিধা সৃষ্টির জন্য সেপা চুক্তি স্বাক্ষরে কাজ করছে।’

ভারতের বাজারে আরও বাণিজ্যসুবিধা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশটির সঙ্গে কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (সেপা) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

সচিবালয়ে রোববার বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিসকক্ষে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সচিব অনুপ ধাওয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রতিবেশী ভারতকে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশটির বাজারে বাণিজ্যসুবিধা সৃষ্টির জন্য সেপা চুক্তি স্বাক্ষরে কাজ করছে।’

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় জানানো হয়, টানা দ্বিতীয়বার স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বের হওয়ার প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূরণ করেছে বাংলাদেশ।

উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে এবার বাংলাদেশের প্রস্তুতিপর্ব শুরু হবে। এ পর্ব শেষে ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে ওঠার সব প্রক্রিয়া শেষ হবে।

উত্তরণের ঘটনায় উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জও আছে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গেলে কিছু সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে।

উত্তরণের পর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে সহজ শর্তে ও কম সুদে ঋণ পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ে এখনও দুর্বলতা থাকায় বিদেশি ঋণের আরও দরকার আছে। এ জন্য বিকল্প উৎস খুঁজতে হবে।

এ ছাড়া এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্যে বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়, উত্তরণের পর সেটাও থাকবে না। সেই চাপ সামলানোটাও বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

যদিও বাণিজ্যমন্ত্রী জানালেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। কারণ বাণিজ্য ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

‘ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (পিটিএ) এবং ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের মাধ্যমে বাণিজ্যসুবিধা সৃষ্টির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় ভারতের সঙ্গেও সেপা চুক্তিতে যাচ্ছে সরকার। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে এক নতুন দ্বার খুলে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য উন্নয়নের ইস্যুটিকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশ চায় উভয় দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে এমন কিছু করতে, যা উভয় দেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এ সময়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। চালু হচ্ছে নতুন নতুন লাইন। ৫৫ বছরের অপেক্ষা শেষে গত ডিসেম্বরে নীলফামারীর চিলাহাটি-পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ী লাইনে চালু হয় ট্রেন। ২৬ মার্চ থেকে ট্রেন চলবে চিলাহাটি থেকে জলপাইগুড়ি লাইনে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ফাইল ছবি

এ ব্যাপারে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রেলপথ চালুর ফলে উভয় দেশের বাণিজ্য সহজ হয়েছে। তবে এখনও বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান কিছু সমস্যা আছে। আছে কিছু পণ্যের ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। যার মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।’

প্রতিবেশী হিসেবে দুই দেশের শূন্য রেখায় স্থাপিত চলমান বর্ডার হাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে বলেও জানালেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘ভবিষ্যতে বর্ডার হাটের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হবে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করা হবে। এতে দুই দেশই একমত হয়েছে।’

ভারতের বিনিয়োগ আগ্রহের প্রসঙ্গে টিপু মুনশি জানান, বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। ফুড প্রসেসিং ও মোটর ভেহিকেল নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগে প্রতিবেশী দেশটির আগ্রহ।

ভারতের বাণিজ্য সচিবের নেতৃত্বে ভারতের প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মো. মহিদুল ইসলাম, ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর