বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গাড়ি আমদানির জট খুলছে মোংলা বন্দরে

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২১ ০৮:৩৩

গত চার মাসে নিলামে ওঠে পাঁচ শতাধিক গাড়ি। এর মধ্যে ৯৯টি ছাড় করতে পেরেছেন ক্রেতারা। আটকে থাকা গাড়িগুলোর দ্রুত খালাসের বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সমাধান হলে নিলামে আগ্রহ বাড়ে ক্রেতাদের।

মোংলা বন্দরে গাড়ির জট খুলতে শুরু করেছে। নিলামের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মোংলা কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ বলেছে, দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে থাকা গাড়িগুলো নিলামে তোলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছাড় করে নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই জট কমেছে।

গত চার মাসে নিলামে ওঠে পাঁচ শতাধিক গাড়ি। এর মধ্যে ৯৯টি ছাড় করতে পেরেছেন ক্রেতারা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ ও মোংলা কাস্টম হাউজ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান মোংলা বন্দর দিয়ে গাড়ি আমদানি করে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মামলার কারণে খালাস কার্যক্রম ব্যহত হয়। ফলে বন্দর শেড ও ইয়ার্ডে গাড়ির জট লাগে।

নিয়ম অনুযায়ী, আমদানি করা গাড়ি বন্দরে পৌঁছার ৩০ দিনের মধ্যে ছাড় করিয়ে না নিলে সেগুলো নিলামে চলে যায়। বিক্রির জন্য কাস্টম কর্তৃপক্ষ গাড়ি নিলামে তোলে।

তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মামলার কারণে নিলাম প্রক্রিয়ায় ক্রেতাদের সাড়া মেলেনি।

আটকে থাকা গাড়িগুলোর দ্রুত খালাসের বিষয়ে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সমাধান হলে নিলামে আগ্রহ বাড়ে ক্রেতাদের।

একই সঙ্গে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো সময়মতো তাদের গাড়ি ছাড় করায় আগ্রহ দেখানোর ফলে মোংলা বন্দরে গাড়ির জট আস্তে আস্তে খুলেছ। তবে প্রচুর গাড়ি পড়ে রয়েছে এখনও।

সরেজমিনে বন্দরে গিয়ে দেখা যায়, শুল্ক জটিলতার কারণে শেড ও ইয়ার্ডে খালাসের অপেক্ষায় সারিবদ্ধভাবে পড়ে রয়েছে টয়োটা, নিশান, নোয়া, এক্সজিও, প্রোবক্স, প্রিমিও, লেক্রাস, পাজেরো, পিকআপ, এলিয়ান ও মার্সিডিজসহ অসংখ্য গাড়ি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তফা কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে কয়েক হাজার গাড়ি আমদানি হয়েছে।

বর্তমানে বন্দরের শেড ও ইয়ার্ডে ২ হাজার ৬৪৩টি গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে ৯৬১টি গাড়ি ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আমদানিকৃত। এগুলো নিলামযোগ্য।

মোংলা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. হোসেন আহমেদ নিউজ বাংলাকে বলেন, আমদানিকৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী খালাস করা হচ্ছে।

অনেক পুরাতন গাড়ি আছে, যেগুলো আমদানিযোগ্য ছিল না। এসব গাড়ির বিষয়ে সরাসরি দেখছে এনবিআর।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে গাড়িগুলো নিলামে ওঠানো যেতে পারে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছয় মাস আগেও বন্দরে অনেক গাড়ি ছিল। যে কারণে জট লাগে। বারভিডার সঙ্গে আলোচনা ও এনবিআরের নির্দেশনা মেনে চলায় জট আগের চেয়ে অনেক কমেছে।

দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে থাকা বাকি গাড়িগুলো একযেগে নিলামে বিক্রি হবে কিনা এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে আলোচনা হয়েছে।

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ক্লিয়ারেন্স পারমিটের কারণে যে সব গাড়ি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে, সেগুলোর বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখবে। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্লিলিয়ারেন্স পারমিট পেলে দ্রুত নিলামে বিক্রি করতে পারব।‘

করোনার কারণে গাড়ি আমদানি কমলেও রাজস্ব আদায়ে তেমর প্রভাব পড়ে নি বলে জানান তিনি।

চলতি অর্থবছরে বছর মোংলা কাস্টম হাউজ ৫ হাজার ২৬৬কোটি টাকা রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখন পর্যন্ত আদায় হয়েছে ২ হাজার ৭শ কোটি টাকা।

অর্থবছর শেষ হওয়ার আগে আদায় আরও বাড়বে বলে জানান কাস্টম কমিশনার হোসেন আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর