বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুজিববর্ষে সেরা করদাতা কাউছ মিয়ার সম্মাননা শুক্রবার

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২১ ২০:৪৫

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাউছ মিয়া সেরা করদাতাদের মধ্যে সেরা। এখন পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ এবং নিয়মিত কর পরিশোধ করেছেন। এই বিরল অর্জনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।’

রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ কর দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে পুরান ঢাকার জর্দা ব্যবসায়ী কাউছ মিয়া শুক্রবার মুজিববর্ষের ‘সেরা করদাতার’ সম্মাননা পাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তাকে এ সম্মাননা দিচ্ছে।

সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার হাতে তুলে দেয়া হবে ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

আট বছর ধরে সেরা করদাতাদের পুরস্কৃত করছে এনবিআর। প্রতিবছর আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।

কয়েক বছর ধরেই সেরা করদাতার সম্মাননা পাওয়া কাউছ মিয়াকে মুজিববর্ষের সেরা করদাতা হিসেবে ঘোষণা করে এনবিআর। একমাত্র তিনিই পাচ্ছেন এই বিশেষ সম্মাননা।

এনবিআরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাউছ মিয়া সেরা করদাতাদের মধ্যে সেরা। এখন পর্যন্ত তিনি সর্বোচ্চ এবং নিয়মিত কর পরিশোধ করেছেন। এই বিরল অর্জনের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে সম্মাননা দেয়া হচ্ছে।’

সবশেষ গত ২৯ জানুয়ারি সেরা করদাতাদের নাম ঘোষণা করে এনবিআর। ২০১৯-২০ করবর্ষে ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতা হন কাউছ মিয়া।

কে কত কর দেন, সে তথ্য কখনও প্রকাশ করে না এনবিআর। তবে এনবিআরের কর্মকর্তরা জানান, অন্য শ্রেণির সর্বোচ্চ করদাতারা প্রতিবছর কর হিসেবে যত টাকা দেন, তারা কাউছ মিয়ার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। ব্যক্তিশ্রেণি হিসেবে কাউছ মিয়া এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কর দিয়েছেন।

কাউছ মিয়ার আদি ব্যবসা তামাক হলেও তিনি বিস্কুট, সাবান, সিমেন্টসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকে মেয়াদি আমানত বা এফডিআর আছে, সেখান থেকে আয় আসে তার।

হাকিমপুরী জর্দার স্বত্বাধিকারী কাউছ মিয়া ১৯৫৮ সালে প্রথম কর দেন তিনি। মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ১৯৫০ সালে চাঁদপুরের পুরান বাজারে মুদি দোকান দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুট ও সাবানের এজেন্ট হন। পরের ২০ বছর তিনি চাঁদপুরেই ব্যবসা করেন।

কাউছ মিয়া ১৯৭০ সালে নারায়ণগঞ্জে চলে এসে তামাকের ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি ৪০ থেকে ৪৫ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।

এ বিভাগের আরো খবর