বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ২১ মামলার তদন্তে সময় আড়াই মাস

  •    
  • ৪ মার্চ, ২০২১ ১৯:৪৭

আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বলেছে, আদেশ পাওয়ার আড়াই মাসের মধ্যে ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া সংশ্লিষ্ট ২১টি মামলার তদন্ত শেষ করে বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে।

বেসিক ব্যাংক জালিয়াতির ঘটনায় ৫৬ মামলার মধ্যে ২১ মামলার তদন্ত আড়াই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

এসডি সার্ভে ফার্মের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইকবাল হোসেন ভূঁইয়ার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।

আদালত বলেছে, এ সময়ের মধ্যে দুদক তদন্ত শেষ করতে না পারলে আসামি ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া যদি জামিন আবেদন করেন তাহলে বিচারিক আদালত জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করবে।

নির্দেশনায় আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বলেছে, আদেশ পাওয়ার আড়াই মাসের মধ্যে ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া-সংশ্লিষ্ট ২১টি মামলার তদন্ত শেষ করে বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করতে হবে।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মমতাজ পারভীন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, এ কে এম ফজলুল হক ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ১৯৬ কোটি আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আসামি ইকবালের বিরুদ্ধে। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলটি খারিজ করে দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে থাকা ২১টি মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।’

ইকবালের আইনজীবী মমতাজ পারভীন বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৭ ধারার ৫ উপধারা অনুযায়ী যেকোনো মামলায় ১২০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিতে হয়। দায়রা জজ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে সে মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে। এই মামলাগুলোর তদন্ত সাড়ে পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে। দুই হাজার দিনের বেশি হয়ে গেছে। তারপরও তদন্ত শেষ হচ্ছে না। এসব যুক্তি তুলে ধরে জামিন চাওয়া হয়েছিল।

‘আদালত জামিন প্রশ্নে যে রুল জারি করেছিল তা নিষ্পত্তি করে রায় দিয়েছে। বলেছে, আদেশ পাওয়ার আড়াই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দাখিল করতে।’

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালে জুন-জুলাই থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিল ও পল্টন থানায় ২১টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ১৯৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৯ সালের ৪ মার্চ এসব মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে চিঠি দেয় দুদক। এরপর সে হাজির না হয়ে ওই বছরের ৬ মে হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন নেন তিনি।

আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১৮ জুন বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত তার আগাম জামিন বহাল রাখে।

পরে ১৪ জুলাই আদালতে আত্মসমর্পণ করে ফের জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া। তবে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এরপর থেকে কারাগারেই আছেন ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া।

গত বছর মার্চে হাইকোর্টে একটি মামলায় জামিন আবেদন করেন তিনি। তখন ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাকে জামিন না দিয়ে রুল জারি করে। পরে বাকি ২০ মামলায় বিভিন্ন সময় বিচারিক আদালতে তিনি জামিন চাইলে সেসব আবেদন খারিজ হয়।

বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট ইকবালকে একটি মামলায় জামিন দেয়। বাকি ২০ মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার আদেশ দিল হাইকোর্ট।

এ বিভাগের আরো খবর