স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যেসব সুযোগ হারাবে, তার চেয়ে বেশি পাবে।
বুধবার দুপুরে অর্থনৈতিক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
মুস্তফা কামাল বলেন, উত্তরণের পর অনেক দেশ লাভবান হয়েছে। বাংলাদেশও লাভবান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা যা হারাব, তার চেয়ে বহু গুণ বেশি পাব।’
এ সময় দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় মূল্যায়নে বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উন্নয়শীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়। এর পর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিকে এই খুশির বার্তা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উত্তরণের পর উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশেক। এই সময় বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক এই অর্জন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মুজিববর্ষে এলডিসি থেকে উত্তরণের ঘোষণায় তিনি নিজেকে ‘সৌভাগ্যবান’ মনে করছেন। এতে জাতি গর্বিত।
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই অর্জনের পেছনে এ দেশের আপামর জনগণের অবদান রয়েছে। আমিও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একমত।
‘জনগণ কষ্ট না করলে বাংলাদেশ এই সাফল্য পেত না। এ জন্য জনগণকে ধন্যবাদ।’
উত্তরণের পর বাড়তি দুই বছর সময় চাওয়া হয়েছে কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে আরও এগোতে হবে। তা ছাড়া একটি স্তর থেকে আরেকটি স্তরে যেতে হলে আরও সময় প্রয়োজন। এ জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। জাতিসংঘ আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেকেই আশঙ্কা করে বলেছেন, দেশের পোশাক রপ্তানি ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলার ক্ষতি হবে। এটা ঠিক না। আমরা যা রপ্তানি করি তার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি করা হয়। ফলে নিট ক্ষতি আরও কম হবে।
‘তবে যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, তার চেয়ে বেশি লাভবান হব।’