বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলোর অর্থ না চাওয়া ইতিবাচক: অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ২ মার্চ, ২০২১ ১৮:১৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার পরও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাঁচটিই এখনও মূলধন সংকটে। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয় ব্যাংক প্রতি বছরই বড় আকারের মূলধন ঘাটতি দেখায়। পরে তারা বাজেট থেকে ঘাটতি মেটাতে অর্থ চায়। এবার ব্যাংকগুলো কম পরিমাণ অর্থ চাওয়াকে ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার সোনালী ব্যাংক ভবনে ভার্চুয়ালি বঙ্গবন্ধু কর্নার ও মুজিব কর্নার উদ্বোধন করে এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর মূলধন ঘাটতি মেটাতে রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলো বাজেট থেকে যে অর্থ চাইতো তা থেকে সরে আসা ইতিবাচক লক্ষণ।’

এ সময় অর্থমন্ত্রী গত ১০ বছরে দেশের সার্বিক অর্থনীতির অর্জনগুলোর প্রশংসা করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় খাতের ব্যাংকগুলোর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করেছে সরকার, ঢেলে সাজানো হয়েছে ব্যাংক ব্যবস্থা।’

যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার পরও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাঁচটিই এখনও মূলধন সংকটে। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি জনতা ব্যাংকের। ব্যাংকটির ঘাটতি ছিল ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের ৩ হাজার ৬৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, অগ্রণী ব্যাংকের ৩ হাজার ২ কোটি ২০ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের ১ হাজার ৪৯২ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং রূপালী ব্যাংকের ৬৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা মূলধন ঘাটতি।

বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ঘাটতি ১০ হাজার ৮১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) ১ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ বিবেচনায় ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর মূলধন রাখার কথা ১ লাখ ১৫ হাজার ৯০৪ কোটি টাকা। এ সময়ে ব্যাংক খাতে মূলধন রয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে উদ্বৃত্ত আছে ১৫ হাজার ৯৩০ কোটি টাকা বা ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘দেশে করোনা পরিস্থিতি এখনও চলমান। অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রণোদনা প্যাকেজসহ সঠিক সময়ে নেয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর ছিল। দেশকে এগিয়ে নিতে ব্যাংকগুলোকে কাজ করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ‘করোনাকালে দেশের ব্যাংক খাত অর্থনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে সরকারের নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। এ জন্য বিশ্ব অর্থনীতির ভঙ্গুর অবস্থা থাকলেও বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েনি।’

সাম্প্রতিক দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আর্থিক খাতের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রযুক্তির ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর