চট্টগ্রাম বন্দরে এফসিএলে (ফুল কনটেইনার লোড) জট লেগেছে। এগুলো সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তাতে কাজ না হওয়ায় স্টোররেন্ট বা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বন্দরের সব ইয়ার্ড মিলে ৪৯ হাজার একক কনটেইনার রাখার ধারণক্ষমতা আছে। যেখানে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্দর ইয়ার্ডে কনটেইনার ছিল ৪০ হাজার একক। কনটেইনার দ্রুত ডেলিভারি না নিলে কয়েক দিনের মধ্যে বন্দর পণ্য ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এফসিএল সরিয়ে নিতে নোটিশ দিয়েছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতেও কাজ না হওয়ায় স্টোররেন্ট বাড়িয়ে দেয়া হয়।
বন্দরের এই স্টোররেন্ট সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম।
নিউজবাংলাকে এনামুল করিম বলেন, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে আমদানি বাড়ছে। প্রতিনিয়ত পণ্য আসছে। কিন্তু আমদানিকারকরা বন্দরের ইয়ার্ডে পণ্যভর্তি কনটেইনার ফেলে রেখেছে। তাই রমজানে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
‘ল্যান্ডিং ডেটের ১১তম দিন থেকে দ্বিগুণ স্টোররেন্ট কার্যকর হবে। দৈনিক ডেলিভারির ক্ষেত্রে ধীরগতির কারণে বন্দরের অভ্যন্তরে কনটেইনারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ঘটনায় বন্দরের স্বাভাবিক অপারেশন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য স্টোররেন্ট দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
রেগুলেন্স ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগাং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কনটেইনার) ২০০১-এর ১৬০ ধারা অনুযায়ী এই স্টোররেন্ট আরোপ করা হয়। এখন থেকে কমন ল্যান্ডিং ডেটের পর ১১তম দিন থেকে প্রযোজ্য স্ল্যাবর স্বাভাবিক ভাড়ার ওপর দ্বিগুণ হারে স্টোররেন্ট আরোপ করা হবে।
বন্দর ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করেছেন, জাহাজ থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ কনটেইনার নামছে, সেই গতিতে বন্দর থেকে ছাড় না নেয়ায় বন্দরে কনটেইনার জটের সৃষ্টি হয়েছে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছিদ্দিকী ট্রেডার্সের মালিক ওমর ফারুক ছিদ্দিকী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যে হারে জাহাজ থেকে কনটেইনার নামানো হচ্ছে, সেই হারে বন্দর কর্তৃপক্ষ ডেলিভারি দিতে পারছে না। বন্দরে প্রতিবছর কনটেইনার ওঠানামার প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু নিজেদের সক্ষমতা না বাড়িয়ে দ্বিগুণ স্টোররেন্ট আরোপ করল বন্দর। এতে করে বন্দর দিয়ে আসা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেবে ব্যবসায়ীরা।’