জাটকা সংরক্ষণে আগামী দুই মাস দেশের ছয়টি জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে রোববার মধ্যরাত থেকে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে রোববার দুপুরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইলিশের পাঁচটি অভয়াশ্রম হলো বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলায়।
০১. পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকা হচ্ছে চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার থেকে মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা।
০২. ভোলা জেলার মদনপুর থেকে শুরু করে চর ইলিশা, চর পিয়াল হয়ে মেঘনার শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা।
০৩. ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম ও তেঁতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা।
০৪. শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ উপজেলা ও চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা।
০৫. বরিশাল জেলার হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ, বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে পাঁচটি অভয়াশ্রমে কোনো ধরনের মাছ ধরলে হতে পারে জেল জরিমানা। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবছর মার্চ ও এপ্রিল দুই মাস এসব অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে।
এ সময় অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশসহ সকল প্রকার মাছ ধরা দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অম্যান্যকারীকে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে।
নিষিদ্ধ সময়ে অভয়াশ্রমসংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলায় মৎস্যজীবীদের জাটকা আহরণ থেকে বিরত রাখতে তাদের জীবিকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর অংশ হিসেবে ছয় জেলার ২ লাখ ৪৩ হাজার ৭৭৮ জন মৎস্যজীবীকে মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি হারে মোট ১৯ হাজার ৫০২ টন ভিজিএফ চাল ইতিমধ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে।