বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সামাজিক সুরক্ষা ভাতার যোগ্য ৪৬ শতাংশই বঞ্চিত’

  •    
  • ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৪৬

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই সামাজিক সূরক্ষা কর্মসূচিতে বড়ধরনের অপচয় হচ্ছে : পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম।

সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় ভাতা পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ৪৬ শতাংশ মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. শামসুল আলম।

রোববার এক সংলাপ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন এ জ্যেষ্ঠ সচিব।

তিনি বলেন, ‘এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই সামাজিক সূরক্ষা কর্মসূচিতে বড়ধরনের অপচয় হচ্ছে।’

তবে অপচয় কমিয়ে আনতে এ খাতে ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

ভাতা পরিশোধ পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। যোগ্যদের শনাক্তে শক্তিশালী ডাটা ব্যাংক গঠন করা হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে আশা করা যাচ্ছে এ খাতে অনিয়ম অনেক কমবে।’

‘করোনার প্রভাবে এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্য ও শিক্ষা’ শীর্ষক সংলাপটি অনলাইনে আয়োজন করে যৌথভাবে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি) ও ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (ডিজেএফবি)। ড.শামসুল আলম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

মানবসম্পদ উন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের উপর গুরুত্বারোপ করে ড.শামসুল আলম বলেন‘অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় শিক্ষা খাতে ব্যয় জিডিপির ৪ শতাংশে উন্নীত করার কথা বলা হয়েছে,যেটি বর্তমানে ২ দশমিক ৬ শতাংশে আছে।

তবে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, শিক্ষা ব্যয় জিডিপির ৬ শতাংশে নিয়ে যাওয়া উচিত।

স্বাস্থ্য খাতে এখন ব্যয় ১ দশমিক ৬ শতাংশ। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সেটি বাড়িয়ে ২ শতাংশে উন্নীত করার কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির উচ্চতর পর্যায়ে গেছে। করোনায় কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে বলে মত দেন ড.আলম।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরী বলেন, ‘করোনায় একটা বড় ক্ষতি হলো, অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

অনেকে কাজে চলে গেছে, অনেকের বাল্য বিয়ে হয়ে গেছে। তাদেরকে কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়,সে বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে সরকারকে।

সংলাপ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর।

করোনায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের ক্ষতি পুষিয়ে কীভাবে এসডিজি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় তুলে ধরে মাহফুজ কবীর বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। এ জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে।’

মূল প্রবেন্ধর ওপর আরও আলোচনা করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক, রোগতত্ত্ববিদ ও মানিকগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত শর্মী, উন্নয়ন কর্মী তাহমিনা শিল্পী, প্রতীক যুব সংসদের নির্বাহী প্রধান সোহানুর রহমান।

এ বিভাগের আরো খবর