পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সার্বিক উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রতিষ্ঠানটির নতুন স্পিনিং ওয়্যারহাউজে (রিং ইউনিটি) আগুন লাগে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে রোববার জানানো হয়, ৬-৭ ঘণ্টার আগুনে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে। এতে কাঁচা তুলা, সুতাসহ ওয়্যারহাউজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে কোম্পানির সচিব হারিছ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে কোম্পানির ওয়্যারহাউজটি পুড়ে গেছে। একই সঙ্গে ওয়্যারহাউজে থাকা আড়াই শ টন সুতা ও চার শ টন তুলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এমন ক্ষতিতেও কোম্পানির উৎপাদনের কোনো বিঘ্ন হবে না বলে জানান হারিছ আলম।
ডিএসই ওয়েবসাইটে কোম্পানিটি আরও জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কাঁচা তুলা, সুতা এবং ওয়্যারহাউজ শেড বিমার আওতায় রয়েছে। বিমা কোম্পানি কারখানা জরিপ করার জন্য জরিপকারী নিয়োগ দেবে।
এ বিষয়ে হারিছ আলম বলেন, ‘আমাদের কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে বিমা চুক্তি রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স লিমিটেড। তারা জরিপকারী নিয়োগ দেয়ার পর প্রকৃত ক্ষতি ও বিমার আওতায় কত ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাবে সেটি জানা যাবে।
২০১৪ সালে মোজাফফর হোসেন স্পিনিং মিলস লিমিটেড পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। ‘বি’ ক্যাটাগরির এই কোম্পানিটি তালিকাভুক্ত হওয়ার দুই বছর পর্যন্ত ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত থাকালেও তারপর আর ভালো লভ্যাংশ দিতে পারেনি।
২০১৪ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ২০১৫ সালে দিয়েছে ১৫ শতাংশ। তারপরও আর কোনো সময়ই ৫ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দিতে পারেনি বিনিয়োগকারীদের।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে কোম্পানিট ২ শতাংশ বোনাস এবং ২০২০ সালের জন্য ১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।