বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

১০০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স লক্ষ্য, রাষ্ট্রদূতদের চিঠি

  •    
  • ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৯:২৬

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো কূটনৈতিক চিঠিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে দূতদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

২০৩০ সালের মধ্যে বিদেশের মাটিতে ৪০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ১০০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স আনার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

এর অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাংলাদেশ মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে এ দুই মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানো কূটনৈতিক চিঠিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী ইমরান আহমদ নতুন কর্মসংস্থান তৈরিতে দূতদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

এ চিঠিতে জানানো হয়, সৌদি আরবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সুদানে কনট্রাক্ট ফার্মিংয়ের ওপর দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে বাংলাদেশের শ্রমবাজারের জন্য উজ্জ্বল ও সম্ভাবনাময় খাত সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। প্রতিবেদনটি গত ২০ জানুয়ারি ফরেন সার্ভিস একাডেমির সেমিনারে উপস্থাপন করা হয়।

সুদানে এরই মধ্যে কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া, জর্ডান, ইয়েমেন, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ভারত ও পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ কৃষি জমি লিজ নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে।

এতে আরও বলা হয়, ওই দেশগুলো লিজ নেওয়া জমিতে খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য কৃষিজ ফসল আবাদ করার জন্য নানামুখী প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এসব কৃষি প্রকল্পে বাংলাদেশি কৃষক ও কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে নতুন সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার তৈরিতে রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, কাতার, সৌদি আরব, সিরিয়া, জর্ডান, ইয়েমেন, লেবানন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চীন, ভারত ও পাকিস্তানসহ একাধিক দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়ে বিদেশে দেশীয় শ্রমবাজার সৃজনে সহযোগিতা চেয়েছেন মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

এ বিষয়ে মন্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুদানে অনেক দেশ কৃষি খাতে বিনিয়োগ করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশে কৃষিবিষয়ক প্রচুর দক্ষ কর্মী রয়েছেন। তাই যেসব দেশ সুদানে কৃষিকাজ করছে, তারা যেন বাংলাদেশি কর্মীদের কাজে লাগায়, সেটি নিশ্চিত করতে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে আমরা বিদেশে আরও ৪০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই। ওই সময়ে আমাদের রেমিট্যান্স টার্গেট ১০০ বিলিয়ন ডলার। এ জন্য আমরা নতুন বাজার খুঁজছি। সেটা এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, লাতিন, সবখানে। আমাদের টিমগুলো এসব অঞ্চলে ভ্রমণ করছে।’

অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘এরই মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত সুদানের দূতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাদের ওখানে সুযোগ আছে। আমরা এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিদেশে নতুন শ্রমবাজার তৈরির ক্ষেত্রে আফ্রিকা অঞ্চলকে প্রাধান্যের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সরকার। সেখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ একাধিক বিষয়ে সুযোগ-সুবিধা কম থাকায় সরকারি কর্মকর্তারা সেখানে যেতে চান না। তাই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সাফল্য নিশ্চিত করতে আফ্রিকা অঞ্চলে বাংলাদেশের মিশনগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর