কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে বাড়ছেই মুরগির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগিরর দাম কক্সবাজারে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। তবে সেটা চট্টগ্রামে আগেই বেড়েছে। আর গত এক সপ্তাহে বেড়েছে কেজিতে পাঁচ টাকার বেশি। তবে জেলা দুটিতে দেশি এবং সোনালি মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর অক্সিজেন, চকবাজার, বহদ্দারহাট, বালুছড়া ও আতুরার ডিপুসহ বেশ কয়েকটা বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি ১৬০, দেশি ৪০০ ও সোনালি ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এক লাফে উঠে গেছে মুরগির দাম। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে যেসব মুরগি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো তা এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় ঠেকেছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি সাদা লেয়ার মুরগি ২০০ টাকা, লাল লেয়ার মুরগি ২৫৫ থেকে ২৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০ টাকা থেকে ৩১০ টাকা, দেশি ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা, সোনালি মাদার ৩৫০ টাকা থেকে ৩৫৫ টাকা।
তবে সবজি মৌসুম শেষ না হলেও স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। চট্টগ্রামে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছিল বলে জানান অক্সিজেন এলাকার সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আশরাফুল।
তাছাড়া ফুলকপি ১৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা পিস, মুলা ১৫ টাকা কেজি, বেগুন ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিমের বিচি ৭০, কাঁচা মরিচ ৫০, গাজর ২৫ ও টমেটো ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। এ ছাড়া বাজারে আসা নতুন সবজি ঢ্যাঁড়শ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি।
মাছ ও মাংসের বাজার কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে। চট্টগ্রামের বাজারে আকারভেদে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা। কাতল আকারভেদে ২৬০ থেকে ৩২০, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৫০, ইলিশ ৭০০ ও পাবদা ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৭০০ ও গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হঠাৎ করেই কয়েক দিনে বেড়ে গেছে সয়াবিন তেলের দাম। চট্টগ্রামে শুক্রবার ১২৮ থেকে ১৪০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন। সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ১৩৫ টাকা লিটার নির্ধারণ করে দিলেও তা মানছেন না অনেকেই।
এদিকে হঠাৎ ২-৩ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। বাজারে এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৬৪ টাকায়। তবে স্থিতিশীল আছে পেঁয়াজ ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের বাজার। বাজারে জাতভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়।
মাস দুয়েক আগে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপকভাবে চাল আমদানির ঘোষণা দিলেও কমেনি চালের দাম। বরং কয়েক প্রকারের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২-৩ টাকা।
চট্টগ্রামের বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। বিআর ২৮ কেজি ৫৬, সরু মিনিকেট ৬২, আঠাশ মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২, নাজিরশাইল ৬২, কাটারিভোগ ৬৫ থেকে ৭০ এবং আইপেল পাইজাম ৬২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কক্সবাজারেও বেড়েছে চালের দাম। শুক্রবার মোটা চাল বিক্রি হয় ৪৭ থেকে ৫০ টাকা কেজি। বিআর ২৮ কেজিপ্রতি ৫৫ টাকা, সরু মিনিকেট ৬২, আঠাশ মিনিকেট ৫৯, নাজিরশাইল ৬৫, কাটারিভোগ ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা এবং আইপেল পাইজাম ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।