বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিজার্ভ রেকর্ড ৪৪ বিলিয়ন ডলার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:১১

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসাবে প্রায় সাড়ে ১০ মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৪ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

বুধবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৪ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে ৪ বিলিয়ন ডলার হিসাবে প্রায় সাড়ে ১০ মাসের বেশি সময়ের আমদানি-ব্যয় মেটানো সম্ভব।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি-ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুত থাকতে হয়। সাধারণভাবে কোনো দেশে ছয় মাসের আমদানি দায় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলে সেটিকে আপৎকালীন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট মনে করা হয়।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে উল্লম্ফন ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আমদানিতে ধীরগতি ও বিদেশি ঋণ বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। রিজার্ভে একটার পর একটা রেকর্ড কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সরকারকে সাহস জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

করোনা শুরুর পর যত দ্রুত রিজার্ভ বাড়ছে, এর আগে কখনও এমন হয়নি। মূলত বিদেশি মুদ্রার চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বৃদ্ধির ফলে গত মার্চের পর এক বছরের কম সময়ে রিজার্ভে যোগ হয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলার।

করোনাভাইরাসের প্রভাব শুরুর মাস গত মার্চ শেষে রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। এরপর প্রতি মাসে হুহু করে বেড়ে এ পর্যায়ে এসেছে।

রিজার্ভে ৪৩ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে গত ৩০ ডিসেম্বর। আর ৪২ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করেছিল ১৫ ডিসেম্বর। এর আগে ৪০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছাড়ায় গত ৮ অক্টোবর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ২৩ তারিখ পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৯ কোটি ডলার। আগের বছরের ফেব্রুয়ারির একই সময়ে এসেছিল ১২৪ কোটি ডলার। এ হিসাবে ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ২৫ কোটি ডলার বা ২০ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের সাত মাসে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৪৯১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ১০৫ কোটি ডলার। অর্থাৎ সাত মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩৮৬ কোটি ডলার বা ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

গত অর্থবছর রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

এ বিভাগের আরো খবর