বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জাতীয় শিল্পনীতির খসড়ায় এসএমই খাতে জোর

  •    
  • ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:৪২

জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১-এর খসড়ায় এসএমই খাতে বিশেষ জোর দিয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে ডিসিসিআই। তারা বলেছে, এসএমইর বিদ্যমান নীতিমালায় খাতটির যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তা সমস্যা সমাধানের সহায়ক নয়। এই নীতিমালা পরিবর্তন সময়ের দাবি।

জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১-এর খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পথে। এতে দেয়া মতামতে এসএমই খাতের ওপর অধিক জোর দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো।

এসএমই ব্যাংক প্রতিষ্ঠা ও এই খাতের সংজ্ঞা পরিবর্তনসহ জাতীয় শিল্পনীতি নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২৫ দফা লিখিত প্রস্তাব করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এসব সুপারিশ ১৬ ফেব্রুয়ারি শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের কাছে হস্তান্তর করেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া ডিসিসিআইয়ের এসব সুপারিশ নিউজবাংলার হাতে এসেছে।

এতে দেখা গেছে, দেশে যেসব নীতিমালা রয়েছে সেগুলোর সমন্বয়ের ওপরে জোর দিয়েছেন ডিসিসিআই। এ প্রসঙ্গে সংগঠনটি বলেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বেপজা, বিডা, বেজা, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় রেখে প্রস্তাবিত শিল্পনীতিটি প্রণয়ন করতে হবে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে প্রায় ৩৯ লাখ নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির যে সম্ভাবনা তা কাজে লাগাতে চাহিদামাফিক মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়ানোয় প্রস্তাব করা হয়েছে ডিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনায়।

সেই সঙ্গে দেশে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিদ্যমান শুল্ক কাঠামোতে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠায় নতুন শিল্পনীতিতে কার্যকর সুপারিশ রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

পণ্যের বহুমুখীকরণ ও গুণগতমান সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে ঢাকা চেম্বার ‘টেকনোলজি অ্যাডাপশন ও ডিসিমিনেশন সেন্টার স্থাপনের সুপারিশ করছে।

ই-কমার্স খাতের সার্বিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট লজেস্টিক খাতের বিকাশে একটি সমন্বিত দিকনির্দেশনা প্রণয়নেরও প্রস্তাব করছে ডিসিসিআই।

ব্যবসায়ীদের এই সংগঠন জোর বিশেষ দিয়েছে এসএমই খাতের ওপর। ডিসিসিআই বলেছে, এসএমইর বিদ্যমান নীতিমালায় খাতটির যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে, তা সমস্যা সমাধানের সহায়ক নয়। এই নীতিমালা পরিবর্তন সময়ের দাবি।

এসএমই খাতের মধ্যম ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র শিল্পকে পৃথক করার সুপারিশ করা হয় ডিসিসিআইয়ের প্রস্তাবনায়। সেই সঙ্গে ‘মধ্যম’ ক্যাটাগরিকে বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব করছে তারা।

ডিসিসিআই মনে করে, এর ফলে কুটির, অতিক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের আর্থিক ও নীতি সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর হবে।

এসএমই খাতের ক্লাস্টারের উন্নয়ন, পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বহুমুখীকরণের লক্ষ্যে ‘ন্যাশনাল এসএমই ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ গঠনের সুপারিশ করেছে ঢাকা চেম্বার।

এ ছাড়া বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) আমদানি বিকল্প এসএমই শিল্প স্থাপনের প্লট বরাদ্দে বিশেষ বিবেচনা এবং আর্থিক প্রণোদনা সহায়তা প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে।

সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এসএমই উদ্যোক্তদের আর্থিক সহায়তা নিশ্চিতকল্পে ‘এসএমই ব্যাংক’ স্থাপনেরও প্রস্তাব করেছে এই চেম্বার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে একটি ‘ক্রাইসিস মিটিগেশন ফান্ড’ তৈরির সুপারিশ করেছে ঢাকা চেম্বার।

ডিসিসিআই বলেছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশ শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা হারাবে, যা কি না রপ্তানিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এ অবস্থা মোকাবিলায় ডিসিসিআই রপ্তানির সম্ভাবনাময় দেশসমূহের সাথে বাংলাদেশের ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অথবা ‘অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)’ স্বাক্ষরের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে নতুন শিল্পনীতিতে এ বিষয়ে শুল্ক-সংক্রান্ত কার্যকর উদ্যোগ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর