বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ মাস ধরে সঠিক পথে অর্থনীতি

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:০৯

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘সরকার সাহসিকতার সঙ্গে করোনা মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছে। এতে করোনা মহামারির নানা প্রতিবন্ধকতা মধ্যেও ৬ মাস ধরে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে হাঁটছে।’

করোনা মহামারির প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ৬ মাস ধরে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগোচ্ছে বলে মনে করছেন বেসরকারি খাত-সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে এমন মূল্যায়ন উঠে এসেছে।

ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘সরকার সাহসিকতার সঙ্গে করোনা মোকাবেলা করে অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছে। এতে করোনা মহামারির নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও ৬ মাস ধরে দেশের অর্থনীতি সঠিক পথে হাঁটছে।’

তিনি বলেন, ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদশের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৪৩.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। করোনার মধ্যেও আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছি। জিডিপি অর্জিত হয়েছে ৩৩০ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বের অনেক দেশ যখন প্রবৃদ্ধির তলানিতে অবস্থান করছে, তখন এই অর্জন বাংলাদেশের অর্থনীতির সক্ষমতা ও সঠিক পথে থাকার প্রতীক।’

প্রবন্ধে অবশ্য উল্লেখ করা হয়, আমরা সঠিক পথে থাকলেও তা টেকসই অর্থনীতি নিশ্চিত করে না। টেকসই হওয়ার জন্য সরকারকে বেসরকারি খাতের উন্নয়নে আরও কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দরকার রয়েছে। সেখানে সরকারি ও বেসরকারি খাতকে এ উদ্যোগে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান। বিশেষ আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাশরুর রিয়াজ ও বিল্ডের চেয়ারপারসন আবুল কাসেম খান।

নীতিসহায়তা ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘এসএমই প্রণোদনা প্যাকেজ ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে বিতরণ নিশ্চিত করা হলে অর্থনীতির ছোট উদ্যোগগুলো টেকসই হবে। এতে সাফল্য পেতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, এসএমই ব্যাংক প্রবর্তন, সিএসএমইখাতের সংজ্ঞা পুনঃনির্ধারণ ও এসএমই উদ্যোক্তাদের ডাটাবেইজ প্রণয়নের কাজ দ্রুত শেষ করায় মনোযোগ দরকার। পাশাপাশি নজর দেয়া উচিত ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাসের দিকে, বিশেষ করে সমুদ্রবন্দরসহ সকল বন্দরের দক্ষতা উন্নয়নে।

একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতের দৈন্যতা দূর করতে উন্নয়ন বাজেটে এ খাতে জিডিপির ৪-৫ শতাংশ বরাদ্দেরও প্রস্তাব করেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার জাতীয় সঞ্চয়ের কার্যকর ব্যবহার এবং অর্থনীতিতে অর্থপ্রবাহ নিশ্চিত রাখার ওপর জোর দিচ্ছে। এর পাশাপাশি কৃষি খাতের আধুনিকায়ন, সমাজের অতি দরিদ্র এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।’

তিনি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সরকারের নীতিসহায়তা নিয়ে বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীলতা আরও বাড়াতে হবে, যাতে দেশেই বিদেশফেরত প্রবাসীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘চলমান বাস্তবতায় ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হলেই দেশের অর্থনীতির অবস্থান ভালো থাকবে। তবে প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়াতে প্রণোদনা প্যাকেজসহ নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ এবং প্রয়োজনীয় নীতিমালা সহজ করতে সরকারকে মনোযোগ দিতে হবে।’

ওয়েবিনারে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এন কে এ মবিন, সহসভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ চেম্বারের পরিচলনা পর্ষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর