বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশে ইফাদের আরও বিনিয়োগ চাইলেন অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:২১

সম্প্রতি প্রণয়ন করা পাঁচ বছর মেয়াদি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নসহ করোনাপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গ্রামীণ অর্থায়ন হিসেবে এই বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক কৃষি তহবিলের (ইফাদের) বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে মন্ত্রী এই আহ্বান জানান ।

এ সময় সম্প্রতি প্রণয়ন করা পাঁচ বছর মেয়াদি অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নসহ করোনাপরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গ্রামীণ অর্থায়ন হিসেবে এই বিনিয়োগ সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী।

বুধবার থেকে দুই দিনব্যাপী ইফাদের ৪৪তম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি বছর গভর্নিং কাউন্সিলের এই বৈঠক ইতালির রোমে ইফাদের সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। এবারই করোনার কারণে প্রথম ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই সভার প্রাকপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রী ইফাদ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন।

বৈঠকে গত ১০ বছরে বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প, বাণিজ্য ও সেবা খাতের উন্নয়নের বিষয়টি তুলে ধরেন মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি গ্রামীণ অর্থনীতি ও অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে ইফাদের অনুদান সহায়তা তথা সহজ শর্তে ঋণ প্রদান বাড়ানোর অনুরোধ করেন। ভবিষ্যতে জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য জিইএফ, জিসিএফ এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী তহবিল থেকে ইফাদকে বাংলাদেশে অর্থায়নের জন্যও আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।

জবাবে ইফাদ প্রেসিডেন্ট আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়তে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন।

১৯৭৯ সালে ইফাদের সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ। এরপর থেকে বাংলাদেশে ইফাদের মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

গ্রামীণ অর্থনীতি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাংলাদেশে ইফাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

ইফাদ বাংলাদেশের কান্ট্রি প্রোগ্রামে অর্থায়নের পরিমাণ ৯৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। এর মধ্যে ইফাদের অবদান ৪১ কোটি ৫৮ লাখ ডলার; জিওবির অবদান ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ডলার এবং অবশিষ্ট অবদান অন্যান্য দাতা সংস্থার। এ

পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩৪টি প্রকল্পে ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিয়েছে ইফাদ। এই বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১ কোটি ১৭ লাখ গ্রামীণ পরিবার উপকৃত হয়েছে। ৩৪টি প্রকল্পের মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৭টি প্রকল্প শেষ হয়েছে এবং বাকি ৭টি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এগুলো কৃষি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পগুলোতে ইফাদ বিভিন্ন সহ-অর্থায়নকারী দাতাসংস্থা যেমন বিশ্বব্যাংক, এডিবি, নেদারল্যান্ড, স্পেন এবং ডেনমার্কের মতো দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগীর সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে ঋণ ও অনুদান সহায়তা দিচ্ছে।

করোনা মহামারি মোকাবিলায়ও সহযোগিতা রয়েছে ইফাদের। বাংলাদেশের ২৬ হাজার কৃষক পরিবারকে বাড়ির উঠোনে সবজিবাগান করার লক্ষ্যে ৯ লাখ ১৫ হাজার ডলার অনুদান সহায়তা দিয়েছে ইফাদ।

এ বিভাগের আরো খবর