যুক্তরাজ্যের সার্ভিস সেক্টরে বাংলাদেশি পেশাদারদের প্রবেশাধিকারের সুযোগ দেয়াসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত ১০ ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে একমত হয়েছে উভয় দেশ।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংলাপে' নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন। সংলাপে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিনিধি ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে আরও যেসব স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি রয়েছে সেগুলো হলো- এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উত্তরণে সার্বিক সহযোগিতা, চলমান বিনিয়োগের উন্নয়ন, বাণিজ্য সহজীকরণ, বিদ্যমান ব্যবসায়িক সুবিধা আরও বাড়ানো, আর্থিক খাত উন্নয়ন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা বাড়ানো, করের বোঝা কমানো এবং মেধাস্বত্বের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সংলাপ শেষে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ব্রিটিশ হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ।
যৌথ বিবৃতিতে ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য অংশীদারত্ব গড়ে তোলার বিষয়ে জোর দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও সহযোগিতা বাড়াতে যেখানে যে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার, দুই দেশই তা গ্রহণে প্রস্তুত রয়েছে বলে দাবি করা হয়।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য একটি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্পর্ক তৈরি করতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। কারণ বৈদেশিক বিনিয়োগ রাজস্ব আয়, কর্মসংস্থান, দক্ষতা উন্নয়ন ও স্থানান্তরে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এটা আমাদের উভয় অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়ক হবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে।'
বাণিজ্যসচিব ড. জাফর উদ্দীন আশা প্রকাশ করেন, ‘এই সংলাপের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য, পরিষেবা এবং পেশাদারদের যুক্তরাজ্যের বাজারে আরও বেশি করে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হবে। এতে বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ বাড়বে এবং রপ্তানিবাণিজ্য প্রসারিত হবে।’