বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিবাসীদের কাজে ফেরাতে রেমিমিস প্ল্যাটফর্ম

  •    
  • ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:২৯

রেমিমিস একটি ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপ্লিকেশনের ডেটা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে বিদেশফেরত প্রবাসীদের বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, যে দেশে অভিবাসন করছেন, তাদের দক্ষতা সব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে।

করোনার নেতিবাচক প্রভাবে অনেক প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। প্রবাসে তারা বিশেষ ধরনের কাজ করলেও দেশে ফিরে বিচ্ছিন্ন তারা। নানা জনের নানা অভিজ্ঞতা থাকলেও তাদের অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

বিদেশফেরত এমন অভিবাসীদের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ এবং সংরক্ষণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘রিটার্নিং মাইগ্রেন্টস ম্যানেজমেন্ট অব ইনফরমেশন সিস্টেম (রেমিমিস)’ নামের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে প্রত্যাশা প্রকল্পের আওতায় রেমিমিস প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়নে সহায়তা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার করবে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।

রেমিমিস একটি ওয়েবভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন। অ্যাপ্লিকেশনের ডেটা ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমে বিদেশফেরত প্রবাসীদের বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, যে দেশে অভিবাসন করছেন, তাদের দক্ষতা সব তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা হবে। এর মাধ্যমে তাদেরকে আবার একত্রিত করে অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কাজে লাগানো যাবে।

সোমবার বিএমইটি ভবনে প্ল্যাটফর্মটি উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

উদ্বোধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুল আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি টিয়ারিঙ্ক এবং আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি।

উদ্বোধনে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, ‘করোনা মহামারি শুরুর পর দেশে ফিরে আসা অভিবাসীদের তথ্য সংরক্ষণের জন্য একটি সমন্বিত ডেটাবেজের প্রয়োজনীয়তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। রেমিমিস ডেটাবেজ এখন আমাদের এই চাহিদা পূরণে সহযোগিতা করবে।

‘এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমরা ফিরে আসা অভিবাসীদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারব। এতে তারা রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হবেন না। অভিবাসনের পূর্বে অভিবাসীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা বিনিয়োগ করেছি এবং তাদের সেই দক্ষতা এখন কাজে লাগাতে হবে। যা রেমিমিস প্ল্যাটফর্ম এই অভিবাসীদের আবারও এক হতে সহযোগিতা করবে এবং অভিবাসনে সুশাসন নিশ্চিত করবে।’

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুস সালেহীন বলেন, ‘দেশে দায়িত্বশীল অভিবাসন ও অভিবাসনে সুশাসনের ডিজিটালাইজেশনের প্রতিশ্রুতির অন্যতম উদাহরণ রেমিমিস। হালনাগাদ তথ্য নিশ্চিতে এবং অভিবাসন ব্যবস্থার উন্নয়নে সিস্টেমটি ব্যবহারের জন্য এ খাতে যুক্ত সবাইকে আমি উৎসাহিত করতে চাই।’

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রেনজি টিয়ারিঙ্ক বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, পার্টনার এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে সহায়তা করবে।

‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, প্লাটফর্মটি সরকারকে আগমাীতে উপাত্তভিত্তিক সঠিক নীতি তৈরিতে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে বিদেশফেরত অভিবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।’

আইওএম বাংলাদেশ মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘বাংলাদেশে নিয়মিত, বিধিসম্মত এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিতে সরকার যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তার একটি ভালো উদাহরণ হলো এই রেমিমিস।’

বিএমইটি মহাপরিচালক শামসুল আলম বলেন, ‘এই ব্যবস্থার মাধ্যমে অভিবাসীদের কাছে অভিবাসন সেবা ও অন্যান্য সহায়তা সহজে পৌঁছে দেয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর