করোনা সংকট অন্যান্য দেশের মতো বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে জাপানেও। বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) অর্থনীতি অনেকটা চাঙা হলেও তা পুরো অর্থবছরের নেতিবাচক ধারা ঠেকাতে পারেনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের তুলনায় দেশটির অর্থনীতি ২০২০ সালের শেষ চতুর্থাংশে বেড়েছে ৩ শতাংশ। তবে সার্বিক হিসাবে, গেল অর্থবছর শেষে জাপানের অর্থনীতির ৪ দশমিক ৮ শতাংশ সঙ্কুচিত হয়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ।
তবে শেষ প্রান্তিকের উন্নয়ন আশা দেখাচ্ছে। এ সময় দেশটির প্রধান সূচক নিক্কি ইনডেক্স ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যায়, যা ছিল ১৯৯০ সালের পর রেকর্ড।
দেশটির অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ-ব্যয় ও রপ্তানি দুটোই বছরের শেষ ছয় মাসে বেড়েছে।
ব্যক্তি পর্যায়ে ভোগ-ব্যয় গেল বছরের শেষ প্রান্তিকে ২ শতাংশ বাড়লেও আগের বছরের একই সময়ে এটি রেকর্ড করা হয়েছিল ৫ শতাংশ। বলা হয়ে থাকে ব্যক্তি পর্যায়ের ভোগ-ব্যয় জাতীয় অর্থনীতিতে ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখে।
মহামারির মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি গত বছরের শেষ দুই প্রান্তিকে চাঙা হওয়ায় জাপানি ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্ত উৎপাদিত দ্রব্য বিশ্ববাজারে বিক্রি করে দেন।
সিকিন সেন্ট্রাল ব্যাংক রিসার্চের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ টাকুমি সুনোদা জানান, পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় জাপানের অর্থনৈতিক পুনরুত্থান ধীর গতিতে এগোচ্ছে। এর মূল কারণ হিসেবে তিনি জানান টিকা বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় অনেক পিছিয়ে রয়েছে জাপান।
গেল বছর ডিসেম্বরে, বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিধর অর্থনীতির দেশ জাপানের পুনরুত্থানে দেশটির সরকার তিন ট্রিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা দিয়েছিল।