বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামের অপ্রতিরোধ্য গতি

  •    
  • ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১২:৩৯

২০২০ সালে দেশটির বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি থেকেই আয় হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের সব পণ্য মিলে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনামের রপ্তানি আয়ের মোট আকার ৬২৮ বিলিয়ন ডলারের।

রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম এই খাতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এ জন্য কম উৎপাদন ব্যয়ের পাশাপাশি নীতিগত বিভিন্ন প্রণোদনা ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন পোশাক খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলছেন, আমেরিকার মতো বড় বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়াও ভিয়েতনামের এগিয়ে যাওয়ার কারণ।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের সার্বিক পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা যেখানে ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে, ভিয়েতনামের সেখানে ২০২১ সালে একক খাত হিসেবে শুধু বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি থেকেই ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০২০ সালে দেশটির বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি থেকেই আয় হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের সব পণ্য মিলে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনামের রপ্তানি আয়ের মোট আকার ৬২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

সম্প্রতি ভিয়েতনামের ন্যাশনাল টেক্সটাইল অ্যান্ড গার্মেন্টস গ্রুপ (ভিনটেক্স) জানিয়েছে, করোনা মহামারি, মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধ, ব্রেক্সিট এবং বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য সুরক্ষাবাদ কৌশল ব্যবহার সত্ত্বেও তাদের রপ্তানি খুব বেশি প্রভাবিত হয়নি।

এতে দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালে শুধু বস্ত্র ও পোশাক রপ্তানি থেকেই তাদের আয় এসেছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের। বিশ্বব্যাপী চাহিদা কমে যাওয়ার পরও অর্জিত রপ্তানি আয়ে ২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। মূলত এ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতেই ভিনটেক্স ২০২১ সালের জন্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে আয়ের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করে ভিনটেক্স চেয়ারম্যান লে তিয়েন ট্ররুং ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু নীতিগত সহায়তাও চেয়েছেন। তিনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে দীর্ঘমেয়াদি সুদের হার কমানোর দাবি জানিয়েছেন ভিয়েতনাম সরকারের কাছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম নিউজ বাংলাকে জানান, ‘ব্যবসা ও বিনিয়োগ বিশ্বের আকর্ষণীয় কয়েকটি দেশের অন্যতম একটি হলো ভিয়েতনাম। সেখানে উৎপাদন ব্যয় কম, রয়েছে নীতিগত নানান সুবিধা। এ ছাড়া দেশটি পণ্য রপ্তানিতে আমেরিকার মতো বড় বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পেয়ে আসছে, যা বাংলাদেশ পাচ্ছে না। ইউরোপের দেশগুলোতেও ভিয়েতনাম আমাদের মতো শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে।

‘অন্যদিকে তারা টিপিপি এবং আরসিইপির মতো বিশ্বের বড় দুইটি বাণিজ্য জোটের সঙ্গে থাকায় মুক্ত বাণিজ্য সুবিধা ছাড়াও সার্টিফিকেট অফ অরিজিন সুবিধা পাচ্ছে। এসব কারণেই ভিয়েতনাম রপ্তানিতে বাংলাদেশের তুলনায় অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।’

এ বিভাগের আরো খবর