বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সম্মাননা পেয়ে আনন্দিত সেরা করদাতারা

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৮

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ জনসহ মোট ৫২৫ জনকে সেরা করদাতা ঘোষণা করেছে এনবিআর।

মিসেস রুবাইয়াত ফারজানা হোসেন এবারও সেরা করদাতা হয়েছেন। সর্বোচ্চ কর দেয়ার স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়েছে তাকে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে তার হাতে ট্যাক্স কার্ড ও ক্রেস্ট তুলে দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হাসেন।

প্রতিক্রিয়ায় ফারজানা হোসেন বলেন, এ সম্মাননা পেয়ে তিনি খুবই আনন্দিত। অনেক বছর ধরে তিনি এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যরা সরকারকে সর্বোচ্চ কর দিচ্ছেন বলে জানান ফারজানা।

পুরস্কার পাওয়া অন্য সেরা করদাতারা বলেন, এ সম্মান পাওয়ায় গর্ববোধ করছেন তারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এ উদ্যোগের প্রশংসা করে তারা আরও বলেন, এর ফলে অন্য করদাতারাও সরকারকে কর প্রদানে উৎসাহিত হবেন।

এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ জনসহ মোট ৫২৫ জনকে সেরা করদাতা ঘোষণা করেছে এনবিআর।

এদের সম্মাননা দিতে বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনবিআর। করোনার কারণে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে দশ সেরা করদাতাকে সম্মাননার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ের পাঁচ জন, বাকি পাঁচ জন কোম্পানি পর্যায়ের।

অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সেরা করদাতার সংখ্যা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে আদায় বাড়াতে অটোমেশন কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন তিনি।

কোম্পানি পর্যায়ে সেরা করদাতাদের মধ্যে গ্রামীণফোনকে সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রধান নিরবাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইয়াছির আজমান পুরস্কার গ্রহণ করেন। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। যে কোনো কাজে এনবিআরের পাশে থাকব।’

আকিজ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ আকিজ উদ্দিন বলেন, সেরা করদাতার পুরস্কার পেয়ে সম্মান বোধ করছেন তিনি। এর ফলে আগামীতে আরও বেশি কর প্রদানে উৎসাহিত হবেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন তথ্যউপাত্ত তুলে বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী মোট রাজস্বে করের অংশ ছিল ১০ শতাংশ। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ শতাংশে। অর্থাৎ আয়কর আদায় বাড়ছে। কিন্তু আরও বাড়ার সুযোগ আছে।

এ জন্য আদায় প্রক্রিয়া সহজ করা, ভয়-ভীতি দূর করা, অনলাইনে রিটার্ন জমা ও কর পরিশোধ পদ্ধতি নিশ্চিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

অর্থনীতির সঙ্গে রাজস্ব আয় যে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, তা স্বীকার করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আদায় বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। ভুয়া টিআইএন চিহ্নিত করতে সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ভয়ভীতির জায়গাগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে। এসব উদ্যোগের ফলে রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর