বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চাল আমদানি: ১৫ ফেব্রুয়ারির পর এলসি নয়

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:১২

তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবেন না তারা তাদের বরাদ্দ প্রত্যাহার করুন। তাদের বরাদ্দ বাতিল করে আমরা নতুন করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেবো: খাদ্যমন্ত্রী

চাল আমদানি করতে ঋণপত্র বা এলসি খুলতে আর চার দিন সময় পাবেন ব্যবসায়ীরা। সময় সীমা পার হলে আর কাউকে চাল আনতে দেয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

ভার্চুয়াল এই সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। এতে আরও অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গত বছর বন্যায় ফসলহানির কারণে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার পর সরকার সীমিত পরিসরে চাল আমদানির সুযোগ করে দেয়। কোন প্রতিষ্ঠান কত চাল আনতে পারবে, সেটা নির্দিষ্ট করে দিয়েছে সরকার। তবে অনুমতিপত্র পেয়েও এখনও অনেকে চাল আনেনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৩টি জেলার জেলা প্রশাসক ও আমদানিকারকদের নিয়ে একটি মিটিং করেছি। ১৫ ফেব্রুয়ারির পরে আর কেউ এলসি খুলতে পারবেন না বলেও সভায় আমদানিকারকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

‘তাদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে যারা ১৫ তারিখের মধ্যে এলসি খুলতে পারবেন না তারা তাদের বরাদ্দ প্রত্যাহার করুন। তাদের বরাদ্দ বাতিল করে আমরা নতুন করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে আমদানির অনুমতি দেবো।’

সরকার চাল আমদানির বরাদ্দপত্র ইস্যুর সাতদিনের মধ্যে এলসি খুলে এ সংক্রান্ত তথ্য খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলেছিল।

এখন পর্যন্ত ৩২০ প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মোট ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে আমদানি করা চাল দেশে আসতে শুরু করেছে। তবে আমদানির গতি অত বেশি না।

পাঁচ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীগণকে এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং সর্বমোট ২০ দিনের মধ্যে সব চাল দেশে আনার নির্দেশ দেয়া হয়।

১০ থেকে ১৫ হাজার মেট্রিক টন বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদেরকে এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে বলেও মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়।

পরে এলসি খোলার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। পরে সময় আরও বাড়িয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি করা হয়।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সীমান্ত দিয়ে চালের ট্রাকের প্রবেশে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হবে। চাল আমদানিতে অন্যান্য যেসব অসুবিধা আছে তা দূর করতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ভোমরা, হিলি, বুড়িমারী, বাংলাবান্ধা, শেওলা, সোনা মসজিদসহ বিভিন্ন স্থল বন্দরে শত শত চালের ট্রাক অপেক্ষমান রয়েছে। এসব চালের ট্রাক যেন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করতে পারে, এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের অনুরোধ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে আতপ চালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী সাধন বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে বেসরকারি পর্যায়ে আতপ চাল আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

পরে অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলেন।

সভায় চালের মজুদ পরিস্থিতি, অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে সংগ্রহের প্রবণতা, আমদানি, বাজার মূল্য, ওএমএস খাতে বরাদ্দ নিয়েও আলোচনা করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর