বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেরা করদাতার সংখ্যা দ্বিগুণ চান অর্থমন্ত্রী

  •    
  • ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৭:০১

জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ জনসহ ৫২৫ জনকে সেরা করদাতা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে এনবিআর। এদের ট্যাক্স কার্ড ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা দেয়া হয়।

সেরা করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার এনবিআর আয়োজিত সেরা করদাতাদের সম্মাননা ও ট্যাক্স কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মন্ত্রী বলেন, আদায় বাড়াতে রাজস্ববান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য যা কিছু করা দরকার, তাই করা হবে। এ বিষয়ে কারও সঙ্গে আপস করা হবে না।

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এর আগে জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ জনসহ ৫২৫ জনকে সেরা করদাতা ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে এনবিআর। এদের ট্যাক্স কার্ড ও সনদ প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা দেয়া হয়।

করোনাভাইরাসের কারণে এবার সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান করে রাজস্ব বোর্ড। জাতীয় পর্যায়ে ১৪১ জন থেকে বৃহস্পতিবার ১০ জন সেরা করদাতাকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে পাঁচজন ব্যক্তি। বাকি পাঁচটি কোম্পানি।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ কর দিতে চান। কিন্তু আমরা আদায় করতে পারছি না ঠিকমতো। ফলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকি হচ্ছে। যেকোনো উপায়ে ফাঁকি বন্ধ করতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত আদায় বাড়বে না।’

অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের প্রধানতম খাত মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ফাঁকি বন্ধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালু করেছে এনবিআর।

অর্থমন্ত্রী জানান, সামান্য কিছু মেশিন বসানো হয়েছে। আরও বসাতে হবে।

ওই সময় দ্রুত মেশিন বসানোর কাজ শেষ করতে এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

বর্তমানে বাংলাদেশে অর্থনীতির আকারের তুলনায় কর আদায় খুবই কম। কর-জিডিপির অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। জিডিপির তুলনায় আমাদের কর আহরণ হওয়া উচিত কমপক্ষে ১৭ শতাংশ।’

কম রাজস্ব আহরণের জন্য অটোমেশনকে দায়ী করে মুস্তফা কামাল বলেন, এর অগ্রগতি তেমন হয়নি। আদায় বাড়াতে অটোমেশনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এটা করতে গেলে বাধা আসবে। কিন্তু তা উপেক্ষা করে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

রাজস্ব আহরণ বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে আদায় হয়েছিল ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সোয়া দুই লাখ কোটি টাকায়।

এ অর্জনের জন্য দেশের জনগণকে কৃতিত্ব দেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী মনে করেন, রাজস্ব আহরণ বাড়লেও খাত বাড়েনি তেমন। গুটিকয়েক খাতের ওপর আদায় নির্ভরশীল এখনও। রাজস্বের নতুন

নতুন খাত চিহ্নিত করে আদায় বাড়াতে এনবিআরকে নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, যদি করহার (রেট) বেশি থাকে, তাহলে আদায় কম হবে। তাই করহার কমাতে হবে। পাশ্ববর্তী দেশগুলোতে করহার কত, তা বিশ্লেষণ করে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে।

এ বিভাগের আরো খবর