শরিয়াভিত্তিক ইসলামি বন্ড (সুকুক) জনপ্রিয় করতে দুবাইয়ে প্রচার চালাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি।
সংস্থার চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়ত-উল-ইসলাম বুধবার আয়োজিত এক সেমিনারে বলেন, ‘বর্তমান কমিশন নানা উদ্যোগের মধ্যে কীভাবে সহজে ব্যবসা করা যায়, তা নিয়েও কাজ করছে। আমরা ভালো ব্যবসা করার জন্য সময় ক্ষেপণ করতে আগ্রহী নই।’
তিনি বলেন, ‘ইসলামি দেশ হিসেবে আমরা সচরাচর সুদবিহীন মুনাফা পেতে চাই। বিশেষ করে ইসলামি প্রক্রিয়ায় আয় করতে চাই। এর মধ্যে উত্তম হচ্ছে সুকুক বন্ড। এটি সুদবিহীন। এ বন্ডে সুদ ছাড়া ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। সবার অংশগ্রহণ থাকলে সুকুক বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব।’
‘দুবাই আসার আগে বিএসইসির পক্ষ থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও আর্থিক সচিবের সঙ্গে সুকুক বন্ড বিষয়ে আলোচনা করেছি। তারা সবাই সুকুক বন্ডের বিষয়ে ইতিবাচক,’ বলেন শিবলী রুবাইয়ত।
বুধবার দুবাইয়ে ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজের আয়োজিত চার দিনব্যাপী রোড শোর দ্বিতীয় দিন ‘সুকুক: দ্য নিউ ইনভেস্টমেন্ট অপরচ্যুনিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে বিএসইসি চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করেন।
সুকুক বন্ডে ফিক্সড কোনো সুদ নেই। এটি ট্রাস্টির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে মূলত বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। আর ওই প্রকল্পের মালিকানার অংশীদার হন সুকুক বন্ডের বিনিয়োগকারীরা, অন্য বন্ডে এই সুযোগ নেই। সুকুক বন্ডের বিনিয়োগ ব্যর্থ হলে ওই প্রকল্পের সম্পদ বিক্রি করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকে।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসুলেট মো. ইকবাল হুসাইন খান বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব প্রকল্পে বিনিয়োগ প্রয়োজন। এই বিনিয়োগের চাহিদা সুকুক বন্ডের মাধ্যমে মেটানো সম্ভব।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-বিএসইসির কমিশনার কামালুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম, বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান, ইউসিবি ইনভেস্টমেন্টের সিইও তানজিম আলমগীর, এনআরবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মাহতাবুর রহমান, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল ও ইউসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের সিইও রাশেদুল হাসান।