বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দক্ষিণ কোরিয়ায় শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চায় বাংলাদেশ

  •    
  • ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:০০

গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করেছে ১৩১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। অথচ একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩৭ কোটি ছয় লাখ চার হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে উন্নয়নশীল দেশের শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ। উত্তরণ পরবর্তী রপ্তানি বাড়াতে দেশটির কাছে এ সুবিধা দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাংকিউনের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এই সুবিধা চেয়েছেন।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বিদ্যমান ব্যবধান কমাতেই মূলত শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চাইলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করেছে ১৩১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের পণ্য। অথচ একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৩৭ কোটি ছয় লাখ চার হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য।

টিপু মুনশি জানান, দক্ষিণ কোরিয়া উন্নয়নশীল দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে।দক্ষিণ কোরিয়া যদি বাংলাদেশকেও একই সুবিধা দেয়, তাহলে সেখানে রপ্তানি বাড়বে। এতে উভয় দেশের বাণিজ্যে ব্যবধান কমে আসবে।

দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ফিরিস্তি টেনে টিপু মুনশি বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। তাদের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দেশটির অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ দেশে কাজ করছে। রয়েছে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। তাদের উৎপাদিত পণ্যেরও এদেশে রয়েছে বিপুল চাহিদা।

‘এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। আমরা আশা করছি, এই বিনিয়োগ বাড়লে দুই দেশই লাভবান হবে।’

জবাবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসা-বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাড়ানোর যে সুযোগ রয়েছে, তা কাজে লাগাতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া। সে লক্ষ্যে কাজও করছে কোরিয়া সরকার।

‘ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া চট্রগ্রামে কেইপিজেড বাস্তবায়ন করছে, এখানে বড় ধরনের বিনিয়োগ রয়েছে। ভবিষ্যতে এই ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড আরও প্রসারিত হবে।’

মতবিনিময়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) হাফিজুর রহমান এবং ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর