দেশে কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি ও মানবসম্পদের দক্ষতা বাড়ানোর সুপারিশ নতুন শিল্পনীতিতে থাকবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
সরকারি ও বেসরকারি সমন্বিত প্রচেষ্টায় শিল্পায়নের মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের চেষ্টাও থাকবে নীতিতে। সে উদ্দেশ্যই সরকার নতুন ‘জাতীয় শিল্পনীতি ২০২১’ প্রণয়নের কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
রোববার নতুন ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০২১’ প্রণয়নের লক্ষ্যে ভার্চুয়াল অংশীজন পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্পোন্নত দেশ গড়তে শিল্প খাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে কর্মদক্ষতা উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।
‘তাই শিল্প খাতের ক্রমবর্ধমান উন্নতি ও উৎপাদনশীলতা অর্জনে আমাদের উপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির মাধ্যমে অধিকতর জনগোষ্ঠীকে শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।’
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং প্রিজম প্রোগ্রামের টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স কম্পোনেন্টের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে (বিআইএম) কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়।
সেখানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ‘নতুন জাতীয় শিল্পনীতিতে শ্রমিকদের স্বার্থ ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হবে।’
শিল্পায়নে পরিবেশের গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে নির্ধারিত স্থানে শিল্পকারখানা স্থাপন করার বিষয়টি নিশ্চিত করে শিল্পনীতি প্রণয়ন করা হবে। বিদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশীয় উদ্যোক্তাদের শিল্পকারখানা স্থাপনের বিষয়টি নতুন নীতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে শিল্প খাতে দক্ষ শ্রমিক বা কারিগরের অভাব রয়েছে। নতুন শিল্পনীতিতে এই কারিগরদের দক্ষ করে তুলতে প্রশিক্ষণের বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে অংশীজন কর্মশালায় বিষয়ের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (নীতি) সলিম উল্লাহ।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (নীতি, আইন ও আন্তর্জাতিক) সেলিম উদ্দিনসহ বেসরকারি স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে এফবিসিসিআই, এমসিসিআই, ডিসিসিআই, বিডব্লিউসিসিআই, বিসিআইয়ের প্রতিনিধিরা।