বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় সমাজতন্ত্রে হাঁপিয়ে উঠছে কিউবা

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:০৭

করোনা মহামারি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নানা অবরোধে নাভিশ্বাস কিউবার অর্থনীতির। গত বছর দেশটির অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ১১ শতাংশ, যা প্রায় গত দিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি। দেখা দিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সংকট।

নানা অবরোধের সঙ্গে করোনাভাইরাস সংকটে অর্থনীতিতে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা আর ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না কিউবার জন্য। অর্থনীতি বেসরকারিকরণে মনোযোগ দিচ্ছে দেশটি।

রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রীত অর্থনীতি ঢেলে সাজাতে ব্যক্তি মালিকানা পুঁজিবাদকেই আমন্ত্রণ জানাতে যাচ্ছে কিউবা। রাষ্ট্রীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে থাকা উত্তর ক্যারিবীয় দেশটি।

কিউবার শ্রমমন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো জানিয়েছেন, অনুমোদিত শিল্পের সংখ্যা ১২৭টি থেকে দুই হারের বেশিতে উন্নীত করা হয়েছে। এর মধ্যে অল্প কিছু শিল্পে নিয়ন্ত্রণ রাখবে সরকার। বাকিগুলো ছেড়ে দেয়া হবে বেসরকারি খাতে।

করোনা মহামারি ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নানা অবরোধে নাভিশ্বাস কিউবার অর্থনীতির। গত বছর দেশটির অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ১১ শতাংশ, যা প্রায় গত দিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতি। দেখা দিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর সংকট।

বলা যায়, অনেকটা বাধ্য হয়েই অর্থনীতি খাত বেসরকারিকরণ করতে উদ্যোগী হয়েছে কিউবা। শ্রমমন্ত্রী ফেইতো জানিয়েছেন, মাত্র ১২৪টি খাত ব্যক্তি মালিকানার বাইরে রাখা হবে। অবশ্য কোন খাতগুলো বেসরকারিকরণের বাইরে থাকবে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।

তবে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য ও প্রতিরক্ষা খাতগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানায় রাখতে পারে কিউবা।

শ্রমমন্ত্রী ফেইতো জানান, বেসরকারিকরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এসেবর উদ্দেশ্য অর্থনৈতিক সংস্কার। এর ফলে বেসরকারি খাতের উৎপাদনশীল খাতগুলো আরও বেগবান হবে।

এতদিন কিউবার ব্যক্তি মালিকানাধীন খাত খুব একটা বিস্তৃত ছিল না। হাজার হাজার ক্ষুদ্র খামারের সঙ্গে দেশটির অর্থনীতির বেসরকারি খাতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কারিগর, ট্যাক্সি ড্রাইভার ও ছোট গড়ানার ব্যবসা।

কিউবার ব্যক্তিমালিকানা ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশই পর্যটন শিল্পে হয়ে থাকে। কিন্তু এই ব্যবসা করোনা আর মার্কিন অবরোধের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে।

দীর্ঘ ৬০ বছর শত্রু শত্রু খেলা শেষে ২০১৫ সালে অনেকটা স্বাভাবিকে রূপ নেয় যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার সম্পর্ক।

দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিকে সে সময়ের মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও কিউবার নেতা রাউল ক্যাস্ট্রো মতৈক্যে পৌঁছান। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা কিউবা সফরে যেতে পারছিল এবং দেশটির ব্যবসাবাণিজ্য গতি পায়। কিন্তু ওবামার বিদায়ের পর ট্রাম্প এসে সব এলোমেলো করে দেন।

এ বিভাগের আরো খবর