বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এত দামে সয়াবিন তেল কেনেনি চট্টগ্রামবাসী

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:৩৩

সয়াবিন তেণ লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল লিটারে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

চট্টগ্রামে এক সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার বেসামাল হয়ে উঠেছে। ভোজ্য তেল, চিনি, আটাসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। লিটার প্রতি ভোজ্য তেলটি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহেও এর দাম ছিল লিটারে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।

নগরীর অক্সিজেন এলাকার মুদি দোকানি নূরউদ্দীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সয়াবিন তেলের এত বেশি দাম এর আগে কখনোই ছিল না।’

বিক্রেতাদের দাবি, সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি নগরীর ভোগ্যপণ্যের বাজার। তারাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়াচ্ছে পণ্যের দাম।

সয়াবিন তেল ছাড়াও চিনি, আটা এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।

গত সপ্তাহেও যে পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায় তাই এখন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনির দাম দুই টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭০ টাকায়। আটার দামও বেড়েছে কেজিতে দুই টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে।

ক্রেতার অপেক্ষায় সবজি বিক্রেতা।

ভোগ্যপণ্যের বাজার গরম থাকলেও সবজির বাজারে রয়েছে স্বস্তি। সরবরাহ ঠিক থাকায় স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ সবজির দাম। সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার নিচে।

শুক্রবার নগরীর অক্সিজেন, আতুরার ডিপো, বহাদ্দার হাট, চকবাজারসহ কয়েকটি কাঁচাবাজারে প্রায় সব সবজির দাম আগের মতোই দেখা গেছে। তবে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে মূলার দাম।

বাজারে মূলা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। আলু কেজি প্রতি ২০ টাকা, শিম ২৫ থেকে ৩০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, লাউ ২০ টাকা, গাজর ২০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ২৫ টাকা, বাঁধাকপি ১৫ টাকা, ফুলকপি ২০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে চালের দাম কমেনি। প্রায় সব ধরণের চালই বিক্রি হচ্ছে আগের মতো চড়া দামে।

বাজারে মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়। বিআর-২৮ কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫২, সরু মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫, আঠাশ মিনিকেট ৫০ থেকে ৫৪, নাজির শাইল ৬০ থেকে ৬৫, কাটারি ৫৭ থেকে ৬০ এবং আপেল পাইজাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল রয়েছে মাছ, মুরগী ও মাংসের বাজার। নগরের বিভিন্ন বাজারে বড় রুই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়, কাতল ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, লইট্টা ১৪০ টাকায়।

ব্রয়লার মুরগী ১৩০, সোনালী ২৫০ এবং দেশী মুরগী ৩৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খাঁসির মাংস ৭০০ টাকা ও গরুর মাংস ৬০০ টাকা কেজি দরে বেচা হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর