মিয়ানমার থেকে শর্তসাপেক্ষে এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের (এমআরএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার এই চাল কিনবে।
বুধবার রাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে বিকেলে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছিলেন, মিয়ানমারে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশটি থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি স্থগিত করা হয়েছে।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত সোমবার এক বছরের জন্য দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সামরিক বাহিনী।
অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু, সম্প্রতি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। তাই আপাতত চাল আমদানি স্থগিত করা হলো।’
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম রাতে নিউজবাংলাকে জানান, মিয়ানমার থেকে চাল আমদানি স্থগিতের বিষয়ে ক্রয় কমিটির বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল তাতে সংশোধনী আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সংশোধনী অনুযায়ী মিয়ানমার থেকে জিটুজি (সরকারের সঙ্গে সরকারের) ভিত্তিতে এক লাখ টন চাল আনবে সরকার।’
বিকেলে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘জরুরিভাবে মিয়ানমার থেকে আমাদের অনেক সময় আমদানি করতে হয়। এর আগেও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।’
অর্থনীতি ভালো অবস্থানে
দেশের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান অর্থমন্ত্রী। এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘এখন পৃথিবীতে এমন দেশ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য স্বাভাবিক আছে। সে তুলনায় বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই যুগে এক দেশ আরেক দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। অন্যরা যেটা কিনবে, আমরা সেটা বিক্রি করব। আবার আমরা যেটা বিক্রি করব, অন্যরা সেটা কিনবে।
‘ফলে কোথাও বড় ধরনের অনিয়ম থাকলে, সেটার উত্তরণ আমরা ঘটাতে পারি না। সেটার জন্য প্রার্থনা করি, যাতে এই অবস্থা থেকে আমরা আরও সুন্দর অবস্থানে যেতে পারি। সেজন্য সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে, ধৈর্য ধরে সব মোকাবিলা করতে হবে।’