১২০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে চতুর্থ প্রজন্মের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদন গ্রহণ শুরু করেছে।
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত আবেদন নেয়া হবে।
৫০০ শেয়ারের এক লটে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের জন্য বিনিয়োগকারীদের ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
১২ কোটি শেয়ার ছেড়ে সংগৃহীত টাকা দিয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিক স্পেস ক্রয়, লোন পরিশোধ, ডিজিটাল হেলথকেয়ার প্ল্যাটফর্ম উন্নয়ন ও আইপিও খাতে ব্যয় করবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৭৪৯তম কমিশন সভায় ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন করা হয়। ফলে এক যুগ বেশি সময় পর ব্যাংক খাতের কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি হতে যাচ্ছে।
এর আগে ২০০৮ সালে ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে সর্বশেষ তালিকাভুক্ত হয় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক।
চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক এনআরবিসি ২০২০ সালে ৩২৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা করে। ২০১৯ সালে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ২৬৫ কোটি টাকা। এ হিসাবে এ সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকা।
আইপিও ও ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, পুঁজিবাজারে আংশিক শেয়ার নিয়ে যাচ্ছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক (এনআরবিসিবি), যা অন্য ব্যাংকের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা বিনিয়োগকারীদের ১০ টাকা দরে শেয়ার দিচ্ছি। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি শেয়ারের দর হবে প্রায় ১৫-১৬ টাকা। ফলে পুঁজিবাজারেও আমরা সফল হব।’
২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এক টাকা ৫৫ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার ইনভেস্টমেন্ট ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।