চলতি ২০২১ সালের শুরুতে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্সে সুখবর এসেছে। জানুয়ারিতেও বড় উল্লম্ফন হয়েছে রেমিট্যান্সে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি মাসে প্রবাসীরা মোট ১৯৬ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
করোনায় হুন্ডি বন্ধ ও সরকারের দুই শতাংশ হারে প্রণোদনার পর থেকে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স ক্রমশ বাড়ছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে।
সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে রির্জাভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৯১ কোটি ডলার।
করোনাভাইরাস শুরুর পর বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ধারণা করেছিল রেমিট্যান্স কমবে। কিন্তু অনেক দেশে তা কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে।
মূলত আগে অবৈধ চ্যানেলে যেসব অর্থ আসত, এখন তার বেশিরভাগই ব্যাংকিং চ্যানেলে আসায় রেকর্ড রেমিট্যান্স আসছে বলে জানান ব্যাংক কর্মকর্তারা।
অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন, করোনাকালীন জনশক্তি রপ্তানি কমে যাওয়া, বিদেশে শ্রমিক কর্মহীন হওয়া এবং কাজ হারিয়ে দেশে ফেরা – এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বর্তমান প্রবণতা বেশি দিন থাকবে না। ফলে সরকারকে নতুন নতুন বাজার সন্ধান করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে প্রবাসীরা মোট ১ হাজার ৪৯১ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ১ হাজার ১০৫ কোটি ডলার।
৭ মাসে বেড়েছে ৩৮৬ কোটি ডলার, যা শতকরা হারে ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
করোনার মধ্যে গত অর্থবছর ২ হাজার কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। প্রবৃদ্ধি হয় প্রায় ১১ শতাংশ।