বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত: মন্ত্রী

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:০২

অর্থনৈতিতে বাংলাদেশের ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার ধারা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার পর ৩৮ বছর লেগেছিল বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে। আর মাত্র গত ১২ বছরে তা তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

দেশের অর্থনীতির প্রতিটি সূচকই উড়ন্ত এবং খুব ভালো অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার দাবি, গত এক যুগে দেশের অর্থনীতি অভাবনীয় অগ্রগতি হয়েছে, রূপকথার গল্পকেও হার মানায়।

সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদের ১১তম অধিবেশনে দেওয়া রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দুর্নিবার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’।

২০২১ সালকে একটি বিশেষ বছর হিসেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর জাতির পিতার জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসেই বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণের চূড়ান্ত যোগ্যতা অর্জন করবে।’

অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে অভ্যন্তরীণ ও বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ প্রভাবও তুলে ধরেন। এ ছাড়া জিডিপির প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়, রেমিট্যান্স রপ্তানিসহ দেশের অর্থনীতির অগ্রতির নানা সূচক নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘করোনার মতো এমন সর্বজনীন মন্দা বিশ্ব আর কখনো প্রত্যক্ষ করেনি। এটাকে ত্রিশ দশকের মহামন্দার পরে সবচেয়ে বড় সংকট।’

অর্থমন্ত্রী জানান, অপ্রত্যাশিত কোভিড-১৯-এর সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যার বাস্তবায়ন দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

করোনা মহামারি বড় ধাক্কা হয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের জন্য। বেশির ভাগ দেশের জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। কর্মহীন হয়েছেন কোটি কোটি মানুষ।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী বলছেন, প্রাথমিক অভিঘাত পার করে বাংলাদেশ দ্রুত অর্থনৈতিক উত্তরণের পথে এগিয়ে চলছে। দুর্গতির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে আশার কথাই শুনিয়েছে বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা।

‘সারা বিশ্বে পুঁজিবাজারের পতন ঘটলেও আমাদের সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে পুজিবাজারের মূল্যসূচক বেড়েছে ২৭ শতাংশ। অর্থনীতির আরেকটি চালিকা শক্তি আমাদের প্রবাসী আয়। করোনা-সময়ে প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৩ শতাংশ।’

বাংলাদেশের অর্থনীতির ক্রমশ এগিয়ে যাওয়ার চিত্র তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০০৮ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্বাধীনতার পর ৩৮ বছর লেগেছিল বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হতে। আর মাত্র গত ১২ বছরে তা তিন গুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

জাতীয় সংসদে বক্তব্য দেয়ার সময় দেশের অর্থনেতিক উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইবিআরের প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ বর্তমানে ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০৩০ সালে ২৮তম এবং ২০৩৫ সালে ২৫তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। আমাদের জিডিপির আকার হবে তখন ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার।’

ইউরোপের প্রখ্যাত অর্থনৈতিক বিশ্লেষক স্পেকটেটরের তথ্যও তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ থেকে ২০১৯ সময়ে বাংলাদেশ জিডিপিতে মোট ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে সারা বিশ্বে সবার ওপরে ছিল। একইভাবে মাথা পিছু জাতীয় আয় ৬৮৬ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও চীনের সঙ্গে প্রথম স্থানে।’

বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতির অগ্রগতি তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, এক যুগে রপ্তানি আয় ছিল ১৪ দশমিক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। প্রবাসী আয় ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭ গুণ বেড়ে ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘পুঁজি বাজারে মূলধন এক লাখ চার হাজার কোটি টাকা থেকে চার গুণ বৃদ্ধি পেয়ে চার লাখ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাল উৎপাদন দুই কোটি ৮৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন কোটি ৬৫ লাখ মেট্রিক টন।

‘বাংলাদেশ এখন চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন কৃষিপণ্যের বহুমুখীকরণ এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন।’

এ বিভাগের আরো খবর