বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রপ্তানিতে ভারতের ‘শিক্ষণীয়’ বাংলাদেশ

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ০৯:৩৬

ভারত সরকারের অর্থনৈতিক জরিপ তুলে ধরে দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে নিজেদের মেলে ধরেছে বাংলাদেশ। ২০১১-১৯ বছরে দেশটির বার্ষিক রপ্তানি হার বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৮.৬ শতাংশ। এই সময়ে ভারতের রপ্তানি পণ্যের বৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।

পণ্যসামগ্রী রপ্তানিতে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা বাংলাদেশ ভারতের জন্য শিক্ষণীয় হতে পারে বলে দেশটির অর্থনৈতিক জরিপ ২০২১ তুলে ধরে মন্তব্য করেছে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম

তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে শক্তিশালী এক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে নিজেদের মেলে ধরেছে বাংলাদেশ। ২০১১-১৯ বছরে দেশটির বার্ষিক রপ্তানি হার বৃদ্ধির পরিমাণ ছিল ৮.৬ শতাংশ।

এই সময়ে ভারতের রপ্তানি পণ্যের বৃদ্ধির হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ এবং বিশ্বজুড়ে রপ্তানি হার বৃদ্ধি ছিল শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ।

বিশ্বের মোট রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যাও বেড়েছে। বিশ্বের মোট রপ্তানিতে ২০১১ সালে বাংলাদেশের হিস্যা যেখানে ছিল শূন্য দশমিক ১ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ।

টেক্সটাইল, তৈরি পোশাক ও চামড়া শিল্পের মতো শ্রমঘন পাঁচটি খাত থেকেই বাংলাদেশের রপ্তানি হয় সবচেয়ে বেশি। ২০১৫ সাল থেকে এসব খাত থেকে রপ্তানি ছিল মোট রপ্তানির ৯০ শতাংশের বেশি।

অন্যদিকে ভারতের রপ্তানিমুখী খাতগুলোতে তাকালে দেখা যায়, দেশটির রপ্তানি খাত বিস্তৃত হলেও মোট রপ্তানিতে শীর্ষ পাঁচ পণ্যের অবদান প্রায় ৪০ শতাংশ। আর এসব পণ্য উৎপাদন শ্রমের চেয়ে বেশি অর্থ ও প্রযুক্তি নির্ভর।

রপ্তানি সম্পর্কিত বাংলাদেশের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে এই অর্থনৈতিক জরিপে বলা হয়েছে, প্রতিযোগিতামূলক পণ্যসামগ্রীর বিশেষত্ব তৈরি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিতে পারে ভারত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) দেশ হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক ছাড় পেয়ে থাকে।

ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্সের (এফআইইও) মহাপরিচালক বলছেন, এলডিসিভুক্ত দেশগুলো শুল্ক ছাড় সুবিধার কারণেই তারা ভারতের মতো বড় অর্থনীতির দেশের তুলনায় রপ্তানিতে বেশি ভালো করে।

করোনা সংকটের মধ্যে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ অর্থনৈতিক সংকটে পড়লেও তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।

সবশেষ অর্থনৈতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণও কমেছে।

২০১৮-১৯ বছরে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য হয়েছিল এক হাজার ২৫ কোটি ডলার। ২০১৯-২০ সালে তা নেমে এসেছে ৯৪৬ কোটি ডলারে।

এই জরিপ ছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রশংসা পাচ্ছে বাংলাদেশ।

করোনার দুর্যোগের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন অর্থনীতি নিয়ে গভীর চিন্তিত, তখন বাংলাদেশ বেশ কিছু সূচকে ভালো করেছে।

জিডিপি‌র প্রবৃদ্ধি নিয়ে দাতা সংস্থাগুলোর আশাবাদ, মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকে ছাড়িয়ে যাওয়া, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভের রেকর্ড উচ্চতা, মূল্যস্ফীতির নিম্নমুখী প্রবণতা দেশের অর্থনীতিতে আশার আলো জাগিয়েছে।

অর্থমন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং রেমিট্যান্স দুটিই বেড়েছে। এই সময়ে রিজার্ভ বেড়েছে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ এবং র‌েমিট্যান্স সাড়ে ৩৭ শতাংশের বেশি।

২০১৮ সালেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হওয়ার প্রাথমিক যোগ্যতা অর্জন করেছে।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৬ সালের পর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হবে বাংলাদেশ। উত্তরণ পর্বে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলায় এখন থেকে প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে ঢাকা।

এ বিভাগের আরো খবর