সরকারের নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) জন্য সিরিঞ্জ দেবে জেএমআই সিরিঞ্জেস অ্যান্ড মেডিক্যাল ডিভাইসেস লিমিটেড-জেএমআই।
এ জন্য কোম্পানিটিকে সাত কোটি ১০ লাখ সিরিঞ্জ ক্রয়াদেশের কথা জানিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির ২২০তম পরিচালনা পষর্দ সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে প্রতিষ্ঠানটি সরকারকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা প্রয়োগে তিন কোটি ৩০ লাখ অটো ডিজেবল (এডি) সিরিঞ্জ সরবরাহ করেছে।
সভায় কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘করোনা মহামারির সময়ে এক দিনের জন্যও কারখানা বন্ধ রাখা হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মেনে ও শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে সরকারের টিকাদান কর্মসূচিতে সিরিঞ্জ সরবরাহ করছি। সরকার এবারও আমাদের প্রতি আস্থা রেখে ক্রয়াদেশ দিয়েছে।’
ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে সিরিঞ্জ কেনার আগ্রহপত্র পাচ্ছি আমরা। এরই মধ্যে ইন্দোনেশিয়াতে দেড় কোটি সিরিঞ্জ রপ্তানি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউনিসেফও সিরিঞ্জ নিতে আগ্রহী। আমরা নেপালসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের টেন্ডারে অংশ নিয়েছি। তবে দেশের চাহিদা পূরণের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব দেয়া হবে।’
সভায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ১৩ বছর ধরে দেশে আমদানি বিকল্প এডি সিরিঞ্জ উৎপাদন হচ্ছে।’
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) ৫০ লাখ মাস্কের কার্যাদেশ পায় জেএমআই।
কিন্তু সরবরাহ করা সুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে প্রশ্ন উঠায় তা সরকারের নজরের আসে। এর আগে ২০ হাজার ৬১০টি নকল এন-৯৫ মাস্ক সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকসহ স্বাস্থ্যখাতের ১০ প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ নিয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বর্তমানে জামিনে আছেন তিনি।
সম্প্রতি কোম্পানিটি বাজারে নিয়ে এসেছে এন-৯৫ মাস্ক। এ বিষয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দ্রুততার কারণে আমাদের অনেক কিছুতে ভুল ছিল। কিন্তু এখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী মাস্ক তৈরি করা হয়েছে।’