বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকার কারণে বেড়েছে তেলের চাহিদা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৯

উড ম্যাকেঞ্জির মতে, ২০২১ সালে বিশ্বে প্রতিদিন গড় তেলের চাহিদা হতে পারে ৯৬.৭ মিলিয়ন ব্যারেল। যা গত বছরের চাহিদার তুলনায় ৬.৩ মিলিয়ন ব্যারেল বেশি।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা আসায় জনমনে স্বস্তি ফেরার পাশাপাশি ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বিশ্ব বাজারে। বেড়ে চলছে তেলের চাহিদা।

জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জির বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, টিকা আসার পর তেলের চাহিদা ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

উড ম্যাকেঞ্জির মতে, ২০২১ সালে বিশ্বে প্রতিদিন গড় তেলের চাহিদা হতে পারে নয় কোটি ৬৭ কোটি ব্যারেল, যা গত বছরের চাহিদার তুলনায় ৬৩ ব্যারেল বেশি।

প্রতিষ্ঠানটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আন লুইস হিটল বলেন, ‘আমাদের আপাত অনুমান বলছে, ২০২১ সালে টিকা দান কর্মসূচি গতি পেলে এটি বৈশ্বিক জিডিপি ৫ শতাংশ বাড়াতে পারে। গত বছর এই প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘তেলের চাহিদা কতটা বাড়বে সেটি নির্ভর করছে করোনা টিকা দেয়ার গতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতি সেরে ওঠার ওপরে।

তেলের চাহিদা বাড়ায় তেলের উত্তোলন বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে জানিয়েছে উড ম্যাকেঞ্জি। কিন্তু এটি নির্ভর করবে তেলের দাম ও চাহিদা বাড়াতে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে তার ওপরে।

তবে তেল রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট অর্গানাইজেশন অফ পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও এর সহযোগীদের সিদ্ধান্তও এই চাহিদায় অনিশ্চয়তা তৈরি করতে পারে।

উডম্যাকের মতে, তেলের চাহিদায় সম্ভাব্য বৃদ্ধির পরেও পরিশোধন কার্যক্রম কম হতে পারে। এখনও চলতে থাকা মহামারি, ওপেকের উৎপাদন ও শোধনে নতুন সক্ষমতা এর পেছনে অন্যতম কারণ।

জ্বালানি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস, এ বছর মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার তেল রপ্তানিকারী দেশগুলো প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন ব্যারেল তেল শোধনের সক্ষমতা অর্জন করবে। এতে নতুন করে তেল শোধনাগার তৈরির প্রয়োজন কমবে।

বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় থাকা শোধনাগারগুলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রক্রিয়াজাতকরণের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। এর ফলে তেল কোম্পানিগুলো পরিবেশ দূষণও কমিয়ে আনতে পারবে।

এ বিভাগের আরো খবর