করোনা মহামারিতে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৪২ শতাংশ হওয়ার তথ্য নাকচ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথএশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিং- সানেম গত ২৩ জানুয়ারি একটি জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দাবি করা হয়, করোনার সময়ে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে হয়েছে ৪২ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতির আগে দারিদ্র্যের হার ছিল ২০ দশমিক ৪ শতাংশ।
তবে তা নাকচ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘জরিপের তথ্য পুরোপুরি অযৌক্তিক। বাস্তবতার সঙ্গে এই তথ্যের মিল নেই।’
দেশে একজন মানুষও না খেয়ে নেই বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
বুধবার বিকেলে অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ দাবি করেন মন্ত্রী। অনলাইনে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের হিসাবে, দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে এ হিসাব করোনার আগে। করোনার ধাক্কায় জনগণের আয় কমেছে। অনেকেই চাকরি হারিয়েছেন, বন্ধ হয়েছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
দারিদ্র্য নিয়ে সানেমের করা জরিপের বিষয়ে এক সাংবাদিক মতামত জানতে চান অর্থমন্ত্রীর।
জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা (সানেম) কয়টি গ্রামে গেছে, কয়জন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে, কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হলো, সেটা আমাদের জানা দরকার।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আপনারাও গ্রামে যাচ্ছেন, শহরে যাচ্ছেন। আপনাদের ধারণা কী? আমাদের দেশে গরিবের হার বেড়ে গেছে?
‘পাঁচ/ছয় হাজারের ওপর জরিপ করলে হবে না। প্রকৃত চিত্র পেতে হলে সারা দেশে করতে হবে।’
করোনার কারণে দারিদ্র্য বেড়েছে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘করোনায় কেউ না খেয়ে মারা যায়নি। যারা চাকরি হারিয়েছে তারা পুনরায় ফিরে পেয়েছে।
সানেমের দাবি অযৌক্তিক মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এসব কথা বলা সহজ। সবাই বলে। সানেমের লোক হলে আমিও বলতাম।’
এর আগে গত সপ্তাহে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সানেমের দেয়া তথ্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘দারিদ্র্যের হার বর্তমানে ২২ থেকে ২৩ শতাংশ হতে পারে।’