আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টন শুরু হলে কোম্পানি প্রসপেক্টাসের সারসংক্ষেপ প্রকাশের ২৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
বর্তমানে বিএসইসি কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত অনুমোদন দেয়ার পর প্রসপ্রেক্টাস প্রকাশ করে থাকে। এবং তা ডিএসই ওয়েবসাইটে সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। এবং প্রসপেক্টাসে কোম্পানি তাদের আইপিও আবেদনের তারিখ উল্লেখ করে থাকে।
নতুন প্রক্রিয়ায় আবেদনের তারিখ থাকবে না।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি আগামী ১ এপ্রিল থেকে আইপিও আবেদনকারীদের সবার মধ্যে আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টনের নির্দেশনা দিয়েছে। এরপর ডিএসই শেয়ার বরাদ্দের বিষয়টি পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে।
সাধারণ আবেদনকারীরা তাদের স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের বিও হিসাবের বিপরীতে আবেদন জমা দেবেন।
প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিদেশি নাগরিকরা বৈদেশিক মুদ্রা হিসাবে (নিটা) আবেদন জমা দেবেন। একই সঙ্গে আবেদনের সম-পরিমাণ অর্থ কর্তনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে ক্ষমতা দেবেন।
এর পাশাপাশি আবেদন কাগজে নির্ধারিত ফরম অথবা ইলেক্ট্রনিক ফরমে জমা দেয়া যাবে। আবেদনের বিনিয়োগকারীর ব্যাংক হিসাব নম্বর, নাম, বিও হিসাব নম্বর, কত সংখ্যা শেয়ারের জন্য আবেদন করছেন তার সংখ্যা, মোট অর্থের পরিমাণ ও আবেদনকারীর ক্যাটাগরি উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারী সমপরিমাণ টাকা জমা করবেন। এক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী কোনো মার্জিন ঋণ সুবিধা পাবেন না।
আবেদনের টাকা স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক ’পাবলিক ইস্যু আবেদন একাউন্ট’ নামে একটি ভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা রাখবেন। সব প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর্যন্ত টাকা জমা থাকবে।
ডিএসই ওয়েবসাইটে ব্রোকার হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর ডাটা ট্রান্সমিশনের জন্য আলাদা করে ইউজার আইডি দেয়া হয়েছে।
আগামী ১৯ মার্চ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে তা যাচাই শুরু করেবে ডিএসই।
ডিএসইর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএসইসি কোনো কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়ার পরই ডিএসইর ওয়েবসাইটে সেই কোম্পানির প্রসপেক্টাসের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়। সেখানেই কোম্পানিটি কবে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করবে তা উল্লেখ থাকে।’
আগামী ১ এপ্রিল থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়া কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে এ বণ্টন ব্যবস্থা চালু করবে বলে জানিয়েছিল বিএসইসি।
এরপর এ সংক্রান্ত এক সভায় ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএল আনুপাতিক হারে শেয়ার বণ্টন প্রক্রিয়ায় বরাদ্দে যে প্রযুক্তি প্রয়োজন তা বাস্তবায়ন করতে জুন পর্যন্ত সময় চেয়েছিল।
কিন্ত চলতি মাসে বিএসইসি আবারও এক নির্দেশনায় ৩১ মার্চের মধ্যে তিন সংস্থাকে তাদের ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএফটি) নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেয়।
আইপিওতে আসা কোম্পানির শেয়ারের আনুপাতিক সমবন্টন পেতে একটি বিও হিসেবের বিপরীতে ২০ হাজার টাকার বিনিয়োগ থাকতে হবে। এবং আবেদন করতে হবে ১০ হাজার টাকা বা তার গুণিতক হারে।