বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেক্সিমকোর সঙ্গে পুঁজিবাজারে বড় পতন

  •    
  • ২৬ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:২০

দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতনের দিনে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ২৫৫টির আর দর ধরে রেখেছে ৭৫টির। বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর হারিয়েছে ৮.১৯ শতাংশ। শতকরা হিসাবে রবির শেয়ার দর কমেছে ৭.২৩ শতাংশ।

এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের তুঙ্গে থাকা বেক্সিমকো লিমিডেট এক দিনেই দর হারিয়েছে সাত টাকা ১০ পয়সা।

সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে আরেক ‘হার্টথ্রব’ রবি দর হারিয়েছে চার টাকা ৩০ পয়সা।

দরপতন অব্যাহত সবচেয়ে বেশি পরিশোধিত মূলধনের খাত ব্যাংকে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্থান পতনের মধ্যে থাকা বিমা খাতও দর ধরে রাখতে পারেনি।

সব মিলিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হলো সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে। প্রায় শত পয়েন্ট দর হারানোকে মূল্য সংশোধন হিসেবে দেখতে নারাজ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

গত এক দশক ধরে নানা সময় পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আশাবাদ জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত গতি ধরে রাখা যায়নি।

গত ডিসেম্বর প্রায় এক হাজার আটশ পয়েন্ট সূচকের উত্থানের পর দুই সপ্তাহ ধরেই বাজার নিম্নমুখী।

মধ্যে একদিন বড় দরপতন হয়েছিল অতিরিক্ত দর বাড়া কোম্পানি নিয়ে তদন্ত করতে বিএসইসির নির্দেশের পর। কিন্তু গত তিন কার্যদিবস ধরে ধারাবাহিক পতনের মধ্যে আজ এত বেশি কোম্পানির দর হারানো, পাশাপাশি লেনদেন কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা।

পতনের দিন আগের দিনের তুলনায় লেনদেনও কমেছে ৪৬০ কোটি টাকা।

লেনদেনের শুরুতেই ধীর গতিতে যাচ্ছিল পুঁজিবাজারের শেয়ারের ক্রয় বিক্রয়। দেড় ঘণ্টায় পতন হয় ৬০ পয়েন্ট। এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা। হারানো সূচকের মধ্যে ৪০ পয়েন্টের মতো ফিরেও পাওয়া যায়।

কিন্তু শেষ দুই ঘণ্টায় আরও দর হারায় কোম্পানিগুলো। শেষ পর্যন্ত ৯৪ পয়েন্ট পতনে শেষ হয় লেনদেন।

মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৯৪ পয়েন্ট সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমে ৪৬০ কোটি টাকা

পুঁজিবাজারে এত বেশি সূচকের পতন সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি। এমনকি বিএসইসির আলোচিত সেই চিঠির পরেও হত ১৩ জানুয়ারি সূচক হারিয়েছিল ৯১ পয়েন্ট।

এর আগে শত পয়েন্টের বেশি সূচক কমেছিল কেবল ২০১৮ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে। সেদিন ১৩৩ পয়েন্ট হারায় ডিএসইর প্রধান সূচক।

দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতনের দিন শেষে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ২৫৫টির আর দর ধরে রেখেছে ৭৫টির।

ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ১২৫ কোটি টাকা। এটিও গত এক মাসেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে কম। গত ২১ ডিসেম্বর লেনদেন এক হাজার ১৩৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল।

এদিন বেক্সিমকো লিমিটেডের শেয়ার দর হারিয়েছে ৮.১৯ শতাংশ। কোম্পানিটির এক কোটি ৬৮ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৪২ কোটি টাকায়।

তবে দরপতনের শীর্ষে ছিল সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানি এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, যার শেয়ার দর কমেছে ৯.৯৩ শতাংশ। শতকরা হিসাবে রবির শেয়ার দর কমেছে ৭.২৩ শতাংশ।

অবশ্য পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ মনে করেন, সাম্প্রতিক উত্থানের পর এমন দর পতন অস্বাভাবিক নয়। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে যে হারে শেয়ারের দর বেড়েছে তাতে দরপতন স্বাভাবিক। সূচক প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি চলে এসেছি, যা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারের যে ফান্ডামেন্টাল তাতে সূচক সাড়ে পাঁচ হাজার পর্যন্ত স্বাভাবিক বলা যায়। এখন মূল্য সংশোধনের মাধ্যমে বাজার একটি স্থিতিশীল জায়গায় ফেরা উচিত।’

সূচক ও লেনদেন

ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান এখন পাঁচ হাজার ৬৯৫ পয়েন্ট।

শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৭ দশমিক ৪৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৭৯ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩৯ দশমিক ০১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ১৬২ পয়েন্টে।

খাতওয়ারি বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানের। দর পাল্টায়নি চারটির, কমেছে ২৫টির দাম।

বিমা খাতের ৪৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে আটি কোম্পানির, পাল্টায়নি তিনটি প্রতিষ্ঠানের। বাকি সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর কমেছে।

প্রকৌশল খাতের ৪১টি কোম্পানির মধ্যে চারটি প্রতিষ্ঠানের দর বেড়েছে। পাল্টায়নি ১০টি প্রতিষ্ঠানের। বাকি সবগুলো কোম্পানির শেয়ারের দর কমেছে।

বিদুৎ ও জ্বালানি খাতের ২১টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে। বাকি সবগুলোর দর কমেছে।

ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতের ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের দর পাল্টায়নি। বাকি সবগুলোর দর কমেছে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে- সিএসই প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২৯৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া ২৫১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১৭৯টির ও দর পাল্টায়নি ৫০টির। এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

দর বেড়েছে কমেছে

মঙ্গলবার ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ৪.৭১ শতাংশ। ডেফোডেল কম্পিউটার শেয়ারের দর বেড়েছে ৪.৫৪ শতাংশ। অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দর বেড়েছে ২.৮৫ শতাংশ। গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ২.৫৬ শতাংশ।

দর বৃদ্ধির তালিকায় ছিল প্রাইমটেক্স, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক।

সবচেয়ে বেশি ৯.৯৩ শতাংশ দর পতন হয়েছে সদ্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির এ্যানার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডে। তারপর ছিল শাইনপুকুর, বেক্সিমতো লিমিটেড, রবি, মাউডাস ফিন্যান্স।

এ বিভাগের আরো খবর